শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও একটি সুস্থ-সবল জনগোষ্ঠী
গড়ে তুলতে তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রয়োজন একটি সুস্থ-সবল জনগোষ্ঠী। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার ও সৃষ্ট রোগের কারণে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা দেশের উন্নয়নে ব্যবহারের জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। ’
আগামীকাল বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার দেয়া এক বানীতে এই আহবান জানান। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘তামাক-উন্নয়নের অন্তরায়’।
শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল বিশ্বে তামাক সেবন ও ধূমপান প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। তামাক ব্যবহারকারীদের প্রায় ৮০ ভাগেরই বাস নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। সরকার তামাক সেবনের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে।
‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তামাকের ধোঁয়া থেকে অধূমপায়ীদের রক্ষায় সকল কর্মক্ষেত্রকে পাবলিক প্লেসের আওতায় আনা হয়েছে। এ আইনে শিশুদের নিকট তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার ক্রমশ কমিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা। এজন্য সরকার, বেসরকারি সংগঠনসহ সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৬০ লাখ লোক মারা যায়। এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ৮০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। সারাবিশ্বের স্বাস্থ্যখাতের ব্যয়ের ৬ শতাংশ অর্থ তামাক ব্যবহারজনিত রোগের।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2si0ns7
May 30, 2017 at 09:41PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন