ঢাকা::
আগামীকাল ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১ সালের এদিন দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন।
এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমানে শেখ হাসিনা ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ আজ এক বাণী দিয়েছেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ১৯৭৫ থেকে দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের এটা একটি মাইলফলক। সুগম হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ।
হামিদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম। তাঁর দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশকে একটি সুখী-সমদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলার ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশি-বিদেশি চক্রান্তে এক দল বিপদগামী সেনা কর্মকর্তাদের নির্মম বুলেটে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এসময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে তারা রেহাই পান।
পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয় ছোঁয়া ভালবাসার জবাবে এ দিন তিনি বলেন, বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে এদেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে রাজনীতিবিদ হিসেবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আবারো দেশে স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে।
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যারা ছিল অবহেলিত ও নির্যাতিত, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে ও তার নেতৃত্বের পরশে তারা আবারো জেগে ওঠার সাহস ও প্রেরণা পেয়ে যায়। এদিন শেখ হাসিনার নামে যথার্থই জেগে উঠে বাংলাদেশ।
from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2pG8B0o
May 16, 2017 at 06:32PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন