নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
সহায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি। আমরা নির্বাচনে যাবো। তবে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া তা হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সবার নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, সবার জন্য সমান সুযোগ দিতে হবে।
সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, উন্নতির শিখরে ওঠার জন্য জাতির লড়াইয়ের সেনাপতি ছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তার মৃত্যুতে দেশের কোটি কোটি মানুষ সেদিন কেঁদেছিল জানাজা নামাজে। যখন জানাজার নামাজে ইমাম সাহেব দোয়া করেছিলেন বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য। তখনই লাখো মানুষ ডুঁকরে কেঁদেছিলেন। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন শহীদ জিয়া।
বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, যখন সমগ্র জাতি কিংকর্তব্যবিমূঢ় তখনই সেই অখ্যাত মেজর জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে দেশের মানুষ স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে পান। তারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এরপরই আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েম করেছিল। আজকে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে হাসি পায়। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জিয়াউর রহমানকে খাটো করতে চায়। কারণ তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। আর আওয়ামীলীগ পালিয়ে গিয়েছিল।
মির্জা ফখরুল দেশের উন্নয়নের জিয়াউর রহমানের অবদান প্রসঙ্গে বলেন, শহীদ জিয়ার অবদান ছিল অসংখ্য। যেখানেই যান তার অবদান রয়েছে। কোনদিকে তাকাবেন? সবখানে তাকে পাবেন। নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় তার সৃষ্টি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গবেষণা কেন্দ্র তার দেয়া, ঈশ্বরদীতে সুগার রিসার্চ ইন্সটিটিউট তার দেয়া, খামার বাড়িতে গবেষণা কেন্দ্র তার সৃষ্টি। এমনিভাবে অসংখ্য জায়গায় তার নামফলক রয়েছে।
শহীদ জিয়াকে মিতব্যয়ী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, জিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকার বেশি কখনোই থাকতো না। নিজের একটু জমিও নেই তার। মৃত্যুর পর তার একটা ভাঙ্গা স্যুটকেস পাওয়া গেছিল। এখানেই অনন্য তিনি।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ দেশে পরিকল্পিতভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। তারা প্রথম আঘাত এনেছে রাজনীতিতে। এভাবে সর্বস্তরে তারা ধ্বংস করছে। প্রবৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে। সরকার সমগ্র মানুষকে প্রতারিত করছে। এখন প্রবৃদ্ধি হচ্ছে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা নেত্রীদের। সবই মিথ্যাচার করছে সরকার।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2rgcybK
May 29, 2017 at 10:30PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন