ঢাকা::
বাংলাদেশের ঢাকার সাভারে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়িতে অভিযান শেষে পুলিশ বলছে, তারা গ্রেনেড এবং আত্মঘাতি হামলায় ব্যবহার হয় এমন ভেস্ট উদ্ধার করেছে।
এর আগে সাভারের নামাগেন্ডা ও মধ্যগেন্ডা এলাকায় ওই বাড়িদুটি ঘিরে পুলিশের অভিযান শুরু হয় শুক্রবার রাতে, শেষ হয় শনিবার বিকেলে।
বাড়িদুটির ভেতরে আজ পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট প্রবেশের পর থেকে, একের পর এক বিস্ফোরনের বিকট আওয়াজ শোনা যায়।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মুহিবুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, বাড়িটিতে যারা থাকতো তারা অভিযান শুরুর আগেই চলে গেছে।
তিনি বলেন, তারা সাতটি গ্রেনেড ও আইইডি বা ঘরে তৈরি বোমা, গান পাউডার, সন্দেহজনক বইপুস্তক, ল্যাপটপ এবং তিনটি ‘সুইসাইড ভেস্ট’ উদ্ধার করেছেন। গ্রেনেডগুলো নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাভারের নামাগেন্ডা এলাকায় গতকাল সন্ধ্যার দিকে প্রথমে একটি বাড়ি ঘিরে রাখার পর ভেতরে ঢুকে কাউকে না পেয়ে পাশের আরেকটি বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ।
মধ্যগেন্ডার যে বাড়িতে অভিযান চলে তার একাংশে থাকেন মিজ লিলি। তিনি জানান, যে লোকেরা ৬টি ঘর ভাড়া নিয়েছিল তারা বাড়িওয়ালাকে বলেছিল যে তারা কসমেটিকস বা প্রসাধন সামগ্রী বানায়। তাদের পাউডার জাতীয় জিনিস দিয়ে কাজ করতে দেখেছেন বলেও জানান মিজ লিলি।
কিন্তু বাড়িওয়ালা লাইসেন্স দেখতে চাওয়ার পর তারা দু’মাস যেতেই বাড়ি ছেড়ে দেয়। বাড়িটিতে পাঁচজন নানা বয়েসের পুরুষ এবং একজন মহিলা থাকতো – জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম জানান, বাড়িটিতে দুটি পরিবার থাকতো এবং তারা নব্য জেএমবির সাথে সংশ্লিষ্ট। কসমেটিকস ব্যবসার আড়ালে তারা বোমা তৈরির রাসায়নিক উপাদান মজুত করেছিলেন।
ডিসি মি. ইসলাম বলেন, “শুক্রবার রাতে তল্লাশি করে দেখা যায় কিছু বিস্ফোরক আছে। রাতে আমরা আর অপারেশন (অভিযান) করিনি। এখন আমাদের বোমা নিষ্ক্রীয়কারী দল বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে”।
ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে জানান মি. ইসলাম।
from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2qqtA3y
May 27, 2017 at 11:18PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.