চার বছরে ১ টন স্বর্ণ উদ্ধার

fঢাকা::বিমানবন্দরে দুই-চার কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের খবর আর আগের মত চমৎকৃত করে না সবাইকে। কারণ, এই ধরনের খবর এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। বড় চালান ধরা পড়লেই কেবল আলোচনা হয়।

কত স্বর্ণ উদ্ধার হয়?
গত চার বছরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর উদ্ধার করেছে এক টনেরও বেশি স্বর্ণ। এসব স্বর্ণের দাম ৫২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। উদ্ধার করা এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করা হয়। আর মামলা নিষ্পত্তির পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে নিলামে বিক্রি করে থাকেন। যা এই দেশের মানুষই তা ব্যবহার করে থাকে।

গত চার বছরে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের মধ্যে কী পরিমাণ স্বর্ণ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে, কী পরিমাণ স্বর্ণ এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা আছে, সে তথ্য নেই শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কাছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের হিসাব মতে,
২০১৩ সালে সারা দেশে থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫১.৫৪ কেজি স্বর্ণ যার দাম ৬৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

২০১৪ সালে উদ্ধার করা স্বর্ণের পরিমাণ ৬৪১.৯০৮ কেজি, যার দাম ৩০১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

২০১৫ সালে উদ্ধার করা স্বর্ণের পরিমাণ ২০৩.৫৪ কেজি, যার দাম ৯৮ কোটি ১ লাখ টাকা।

২০১৬ সালে উদ্ধার করা স্বর্ণের পরিমাণ ৬৯.২৪ কেজি, যার দাম ৩৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত উদ্ধারকৃত স্বর্ণের পরিমাণ ৮৫.৯৮ কেজি, যার দাম ১৯ কোটি ১ লাখ টাকা।

আটক হওয়া স্বর্ণ যায় কোথায়?

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণ আটক করে। ওই স্বর্ণ ঢাকা কাস্টমস হাউজের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি জিআরও নম্বরের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়।

ঢাকা কাস্টমস হাউজ উদ্ধারকৃত ওই স্বর্ণের নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংকে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মালিকানা দাবি করে কেউ যদি ওই স্বর্ণ নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করে তাহলে তারা তা নিয়ে যেতে পারে। তবে কেউ যদি দাবি না করে তখন বাংলাদেশ ব্যাংক ওই স্বর্ণ নিলাম করে।

বাংলাদেশে জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা ওই স্বর্ণ নিলামে কিনে নেয়। আর নিলামে বিক্রি করা ওই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঈনুল খান বলেন, ‘আমরা স্বর্ণ উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টমস হাউজের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেই। এরপর ওই স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে বিক্রি করে থাকে। তবে কী পরিমাণ স্বর্ণ নিলাম করা হয়, সে হিসাব আমাদের কাছে নেই। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই হিসাব আমাদের কাছে আসে না।’



from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2pRqhS4

May 16, 2017 at 12:08PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top