সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট মাঠের লড়াইয়ের চেয়ে বড় লড়াইটা হয়ে যায় মাঠের বাইরে। সোশ্যাল মিডিয়াতে। ভক্ত-সমর্থকরা কথার ফুলঝুরি ছুটিয়ে নিজ দলকে উৎসাহ দেয়া আর প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা, দুটো কাজই করে থাকেন সানন্দে। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণটা ছিল, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ বনাম ভারতের সেমি-ফাইনাল ম্যাচটি। দুদেশের ক্রিকেট ভক্তদের পোস্ট আর টুইটে ভেসে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া! তবে সোশ্যাল মিডিয়ার এই বাড়তি মাতামাতি ক্রিকেটারদের উপরে ভালো-খারাপ, দুটি প্রভাবই রাখতে পারে। তাই ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ার উত্তেজনায় গা ভাসাতে চাইছেন না! বিপরীতে পাকিস্তান দলনায়ক সরফরাজ আহমেদ জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের তীব্র সমর্থনই প্রেরণা দিচ্ছে তাদের! রোববার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। ভারত টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। আর পাকিস্তান প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। মহারণের আগে শনিবার কোহলি ও সরফরাজ মুখোমুখি হয়েছিলেন সাংবাদিকদের। সেখানেই কোহলি ও সরফরাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্ত-সমর্থকদের উন্মাদনা নিয়ে একেবারে ভিন্ন মতামত জানিয়েছেন। টুইটারে ২৮ বছর বয়সী ভারত নেতা কোহলির প্রায় ১৬ মিলিয়ন অনুসারী রয়েছেন। তবে ফাইনালের আগে চাপ নিতে নারাজ কোহলি বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। বাড়তি উত্তেজনা তৈরি করে। তাই তিনি দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন ভক্তদের কাছে থেকে, সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা। হাস্যকর হলেও সত্য, এটা গুরুত্বপূর্ণ। বিপরীতে ইতিহাস গড়ে ফাইনালে ওঠা পাকিস্তান দলনেতা সরফরাজের মত, আমি সকল পাকিস্তানি ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের সমর্থন করে গেছেন। তারা আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। আশা করি ফাইনালেও তারা এভাবেই আমাদের সাহস জুগিয়ে যাবেন। কে সঠিক- কোহলি না সরফরাজ? কার যুক্তি ধোপে টিকবে? কে হাসবে শিরোপা জয়ের হাসি? জানা যাবে রোববারের ম্যাচের পরই। কেনিংটন ওভালে ম্যাচটি শুরু বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায়।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rHDGNA
June 18, 2017 at 07:46AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top