লন্ডন, ১৭ জুন- চার ম্যাচে ১৮৩ রান দিয়ে এক উইকেট! নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই উইকেটটা আবার কোনও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের নয়, টেল এন্ডারের। হতাশার এই পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে ফিরছেন দলের এক নম্বর পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজেরে এই চরম ব্যর্থতা দলকে খুব বেশি মূল্য দিতে হয়েছে, বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে। এই ম্যাচে তার দিকে তাকিয়ে ছিল দল। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বল করেছেন একেবারেই লক্ষ্যহীন। হাফ ভলি, স্ট্যাম্পের বাইরে। মাঝেমধ্যে স্লোয়ার দিয়েছেন বটে কিন্তু বল একেবারেই জায়গা মতো ফেলতে পারেননি, এলোপাতাড়ি বোলিং। বলে গতিও তেমন ছিল না। মোস্তাফিজের এই অতি সাধারণ বোলিংয়ে অবাকই হযেছেন ভিভিএস লক্ষণ। যিনি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মেন্টর। লক্ষণের পছন্দেই ২০১৫ সালে আইপিএল হাতেখড়ি হয়েছিল মোস্তাফিজের। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় মোস্তাফিজের বোলিং চতুরতার অবনতিতে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন লক্ষণ। ম্যাচ শেষে তার সঙ্গে দেখা হয় মিডিয়া ডাইনিং রুমে। বিনয়ী লক্ষণের সঙ্গে আরও কয়েকবার কথা হয়েছে। কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করলে বা জানতে চাইলে তিনি না করেন না। এই ম্যাচে মোস্তাফিজের বোলিং নিয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে লক্ষণ বলেন, ও যেভাবে বল করলো, আমি তাতে অবাকই হলাম। ফিজ সম্ভবত অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করে বল করেছে। এটা সে ঠিক করেনি। আমার মনে হয় অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করতে গিয়ে তার আসল ডেলিভারিগুলো কাজ করছে না। সে ঠিকমতো বল করতে পারেনি। মোস্তাফিজকে সাধারণ মনে হয়েছে। তার কাছ থেকে আরও ভালো বোলিং আশা করেছিলাম। কিন্তু তার অস্ত্রগুলো শো করতে পারলো না। ব্যাটসম্যানদের রুম তৈরি করে দিয়েছে মারার জন্য। ইংল্যান্ডের স্লো উইকেটে মোস্তাফিজের কাটার বা স্লোয়ার কাজ করার কথা। লক্ষণ মনে করেন, এখানে মোস্তাফিজের আরও ভালো করা উচিৎ ছিল। বললেন, সে যে ধরনের বোলার তাতে এই কন্ডিশনে ভালো করা উচিৎ ছিল। এমন উইকেটে ওর স্লোয়ার, কাটার তো কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু সে সঠিকভাবে অ্যাপ্লাই করতে পারেনি। সে সম্ভবত অ্যাকশনেও পরিবর্তন এনেছে। তবে হতাশ হবার কোনও কারণ দেখেন না সাবেক এই ভারতীয় ব্যাটিং প্রতিভা। দেশে ফিরে কোচিং স্টাফদের সঙ্গে বসে ক্রুটিগুলো সেরে নিতে বললেন লক্ষণ, আসলে সবকিছু কোচরা ভালো বলতে পারবেন। তাদের পরামর্শেই ফিজ হয়তো অ্যাঙ্গেল বা অ্যাকশন পরিবর্তন করেছে। আমি আসলে জানি না। তারা নিশ্চয়ই মোস্তাফিজকে নিয়ে বসবেন। আমার মনে হয় মোস্তাফিজের ন্যাচারাল যে ডেলিভারিগুলো আছে, ওগুলো ঠিক রাখা উচিৎ। আমি আশা করি সে কামব্যাক করবে। তার এখন নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। কেন বোলিংয়ে অ্যাঙ্গেল বা অ্যাকশনে পরিবর্তন আনলেন মোস্তাফিজ? অপারেশনের কারণেই কী তিনি বাধ্য হয়েছেন আগের অ্যাকশনে পরিবর্তন আনতে? ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতে, অপারেশনের কারণে নয়, হয়তো বোলিং কোচ বা দলের থিঙ্কট্যাঙ্কের পরামর্শে অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করেছেন কাটার বয়। সিদ্ধান্তটা যে ভালো ছিল না, তার ফল তো পাওয়াই গেল। এখন নিশ্চয়ই আগের বোলিং অ্যাঙ্গেলেই ফিরে যাবেন মোস্তাফিজ। আর/০৭:১৪/১৭ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sIOsYh
June 17, 2017 at 02:19PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top