নয়াদিল্লী, ২৭ জুন- রবি শাস্ত্রী ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদপ্রার্থী কি নাএ নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। অনিল কুম্বলের উত্তরসূরি হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আবেদনপত্র চেয়ে যে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল, সেখানে শাস্ত্রী আবেদন করেননি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি কুম্বলের জায়গায় শাস্ত্রীকে কোচ করার অনুরোধ করলেও শাস্ত্রীর কোনো আবেদনপত্র বিসিসিআই কিংবা বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির কাছে ছিল না। বরং ভারতের সাবেক কোচিং ডিরেক্টর জেদ ধরে ছিলেন, কোচের পদে তাঁকে দরকার মনে করলে বোর্ড যেন ফোন করে তাঁকে অনুরোধ জানায়। তবে শাস্ত্রী কিন্তু সব সময়ই ভারতের কোচ হিসেবে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হয়েই ছিলেন। কোচিং ডিরেক্টর হিসেবে ১৮ মাসের দায়িত্ব পালনকালে তাঁর সাফল্য আর কোহলিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তাঁকে কোচের দৌড়ে এগিয়ে রেখেছিল অনেকটাই। সমস্যা একটাই ছিল, বিসিসিআইয়ের কাছে তাঁর আবেদন না করা। সে সমস্যাটা কেটে যাচ্ছে। শাস্ত্রী নিজেই নাকি কোচের পদে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোচের পদে আবেদন করার সময়সীমা প্রথমে ৩১ মে পর্যন্ত হলেও সম্প্রতি আরও ভালো প্রার্থীর আশায় সেটি ৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অনেকেই বলছিলেন, শাস্ত্রী যেন আবেদন করেন, সে কারণে এ সময়সীমা হঠাৎ করেই বাড়ানো হয়েছে। ভারতের সাবেক অলরাউন্ডারের আবেদন করার সিদ্ধান্তে সেই কানাঘুষাই যেন সত্যতা পেতে যাচ্ছে। অথচ এই শাস্ত্রীকে সরিয়েই কোচের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কুম্বলেকে । ২০১৪ সালে খুব কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের হাল ধরেছিলেন শাস্ত্রী। সময়টা এমন ছিল, যখন ভারত ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় টানা ৭ টেস্টে হেরেছে। সমালোচনার ঝড় বইছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে নিয়ে। বাজে সময়ে গোটা দলকে এক সুতোয় গেঁথে সামনে এগিয়েছিলেন শাস্ত্রী। ভয়ডরহীন ক্রিকেটের পাঠ দিয়েছিলেন দলকে। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের পর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ভারতীয় ক্রিকেটাররা চেয়েছিলেন তাঁকেই পুনর্নিয়োগ দেওয়া হোক। আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী আর ভিভিএস লক্ষ্মণের উপদেষ্টা কমিটির কোচ বাছাই কার্যক্রমে তিনি এক নম্বর হতে পারেননি। তাঁকে ডিঙিয়ে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কুম্বলেকে। নতুন করে কোহলিদের অভিভাবকত্ব না পেয়ে শাস্ত্রী যে কার্যত ক্ষুব্ধ ছিলেন, সেটা প্রকাশিতই হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকবার। উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে তো লেগেই গিয়েছিল তাঁর। যে কারণে কুম্বলেকে বিদায় নিতে হয়েছে, সে কারণেই শাস্ত্রীর কোচ হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। কোহলির সঙ্গে কুম্বলের যে সম্পর্ক, শাস্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঠিক উল্টোটা। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রায় সবাই নাকি চান শাস্ত্রীই দলের হাল ধরুন। সে ক্ষেত্রে বোর্ড নতুন কোনো কোচ নিয়োগের ঝুঁকিটা এড়িয়ে যেতেই চাইবে। কোচিং ডিরেক্টর হিসেবে ১৮ মাসের সাফল্যের ফিরিস্তিটাও যে বেশ দীর্ঘই। সূত্র: ফার্স্টপোস্ট।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sMjjT4
June 27, 2017 at 09:32PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top