ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন আজ

aইউরোপ ::আগাম নির্বাচনের মূলে ব্রেক্সিট থাকলেও আজ অনুষ্ঠিতব্য ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণায় অধিক গুরুত্ব পেয়েছে নিরাপত্তা ইস্যু। মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে ম্যানচেস্টার ও লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলার পর নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির থেরেসা মে এবং লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশ জোরালোভাবে সামনে নিয়ে এসেছেন।
নির্বাচনে বিভিন্ন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৪ বাঙালি প্রার্থী। এর মধ্যে আছেন গত নির্বাচনে লেবারের টিকিটে নির্বাচিত রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দীক ও রূপা হক।
প্রচারণার শেষ দিনে থেরেসা মে বলেছেন, ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যে চাকরির পরিমাণ বাড়বে; বাড়বে বাড়িঘর, আরো উন্নত হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অন্য দিকে করবিন ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডের র‌্যালিগুলোতে মঙ্গলবার বলেছেন, জাতীয় স্বাস্থ্য খাতকে বাঁচাতে ভোটারদের হাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় আছে। কনজারভেটিভদের নীতিতে জাতীয় স্বাস্থ্য খাত, সামাজিক নিরাপত্তাসহ পুলিশের সংখ্যা এবং পেনশনের পরিমাণ কমে যাবে বলে নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে লেবাররা। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলছেন, নির্বাচিত হলে তিনি সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলায় প্রয়োজনে যুক্তরাজ্যের এখনকার মানবাধিকার আইনের সংস্কার করবেন তিনি। শেষ দিনে কনজারভেটিভ শীর্ষ নেতা মে প্রচার শুরু করেন লন্ডন থেকে; এরপর যান সাউথ কোস্ট, নরফোক, নটিংহ্যামশায়ার ও ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে কনজারভেটিভ দলের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করার পর থেরেসা মে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইচ্ছে করলে তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। কিন্তু ব্রিটিশ গণতন্ত্রের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনুযায়ী তিনি জনগণের আস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল নি¤œ পরিষদে ৫২২ ভোটের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। থেরেসা মে এই মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে তার নড়বড়ে কোয়ালিশন সরকারকে শক্ত ভিত্তি দিতে চেয়েছিলেন হয়তো।
উল্লেখ্য, কনজারভেটিভ দল ২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তারা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়। সে কারণে কনজারভেটিভরা স্কটিশ ন্যশনাল পার্টি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও নর্দান আইরিশ ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে বাধ্য হয়। ভেঙে দেয়া সংসদে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি বা শ্রমিক দলের বিপরীতে মাত্র ১২ জনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা তারা দেশ পরিচালনা করছিলেন। যেহেতু ব্রেক্সিটের মতো জনপ্রিয় ইস্যুতে থেরেসা মে’র বড় ভূমিকা ছিল, সেহেতু তিনি আশা করছিলেন নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে তার পরনির্ভরশীলতা ঘুচবে। তিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আবার সরকার গঠন করবেন। তার এ আশাবাদের বাস্তবতাও ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল ব্রেক্সিটের বিষয়টি নির্বাচনে প্রাধান্য পাবে। ব্রিটিশ জনগণের স্বকীয় মর্যাদার মনস্তত্ত্বকে ব্যবহার করে উতরে যাবেন থেরেসা মে। এতে সংযুক্ত হতে পারে অর্থনীতি, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মতো বিষয়াদি। জনমত যাচাই করে নির্বাচনের পূর্বাভাস প্রদানে ব্যস্ত সংগঠনগুলো থেরেসা মে’র কনজারভেটিভ দলের সপক্ষে প্রতিবেদন প্রকাশ করছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ম্যানচেস্টার ও লন্ডন হামলা সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে শুরু করে। ২৪ মে ম্যানচেস্টারে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ২২ জন নিহত ও ১১৯ জন আহত হয়। এর ১২ দিনের মাথায় ৩ জুন রাতে লন্ডন ব্রিজ ও তার অদূরে সন্ত্রাসী হামলা নিহত হয় ৯ জন। ঘটনাটি ব্রিটেনে বিস্ময়বিমূঢ়তা সৃষ্টি করে।
ব্রিটেনের জনগণের সামনে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য লাভ করে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও বিরোধী দলের নেতা জেরেমি করবিন নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হন। জনগণের সামনে এখন প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কার ওপর বেশি ভরসা করা যায়, সে বিষয়টি। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, উগ্রবাদ দমনে সরকারকে পরামর্শ দেয়ার জন্য তারা একটি বিধিবদ্ধ স্বাধীন কমিশন গঠন করবে। প্রস্তাবিত কমিশনের কাজ হবে ব্রিটিশ মূল্যবোধের প্রচার এবং উগ্রবাদকে চ্যালেঞ্জ করা। বিশেষ করে তারা দেখবেন কী করে সঙ্ঘাতমুক্ত উপায়ে সন্ত্রাস দূর করা যায়। উভয় পক্ষের রাজনৈতিক নেতৃত্ব মনে করেন, ‘যুক্তরাজ্য বিশ্বে অন্যতম সফল বহু ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির দেশ। কিন্তু বহু সংস্কৃতি উদযাপনের ঐতিহ্য নিশ্চয়ই ঘৃণ্য উগ্রবাদ দমনে বাধা হতে পারে না; যদিও কাজটি কঠিন এবং কখনো কখনো বিব্রতকর। লেবার পার্টি জোরেশোরে প্রচার করছে যে, বিরোধী শ্রমিক দলের নেতা জেরেমি করবিন সাম্প্র্রতিক অতীতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। সুতরাং করবিনের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। আর করবিন উল্টো অভিযোগ করছেন যে, সাত বছর ধরে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভরা নিরাপত্তা বাজেট হ্রাস করায় পুলিশের সংখ্যা অন্তত ২০ হাজার কমে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত রসদের অভাবে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে। ক্ষমতাসীন দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী শক্তি হিসেবে পৃথিবীর সর্বত্র ক্ষমতার জানান দিতে চায়। শ্রমিক দলের নেতা যুদ্ধবিরোধী উদারনৈতিক জেরিমি করবিন এসবের বিরোধিতা করছেন। অতীতের নির্বাচনগুলোয় তিনি পরনির্ভরশীল পররাষ্ট্রনীতির বিরোধিতা করেছেন। এখন তিনি স্পষ্ট করে বলছেন যে, বিদেশে যুদ্ধ যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। তিনি উদ্ধৃত করছেন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের গবেষণাকর্ম ও পেশাদার গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো। এসব গবেষণাকর্মের ফলাফলে বলা হয় যে, সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রচলিত যুদ্ধনীতি ব্যর্থ হয়েছে। ওই সব যুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে ব্রিটেনে সন্ত্রাসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেরিমি করবিন ঘোষণা দিয়েছেন যে, ক্ষমতায় গেলে তিনি পররাষ্ট্রনীতি ঢেলে সাজাবেন। শ্রমিক দলের নেতা আরো বলেন, তার প্রস্তাবিত পররাষ্ট্রনীতি দেশে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াবে না, বরং কমাবে। ম্যানচেস্টারে হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের ব্যাখ্যা যা-ই হোক না কেন, তা কোনোভাবেই হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দেয় না। বরাবর শান্তি ও মানবাধিকারের পক্ষে বক্তব্য প্রদানকারী করবিন প্রতিশ্রুতি দেন যে, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে তার দল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাজেট বাড়াবে। এতে তারা দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সব উপকরণের সংস্থান করতে পারবে। আর বিদেশী সন্ত্রাসের ঝুঁকি কমাতে পররাষ্ট্রনীতিতে যুদ্ধ হবে শেষ অবলম্বন। যুদ্ধবিরোধী হিসেবে পরিচিত করবিন আফগানিস্তান ও ইরাকে হামলার তীব্র বিরোধিতা করেন।
উল্লেখ্য, তিনি সিরিয়া, লিবিয়ায় হামলার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তবে তিনি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ‘যেকোনো কঠোর সিদ্ধান্ত’ নিতে পিছপা হবেন না। করবিন তার বক্ত্যবের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে বলেন, কোনো সরকারের পক্ষেই সন্ত্রাসের ঝুঁকি শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়। এসবের উত্তরে সরকারি দলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এম্বার রাড বলেন, বাজেট হ্রাসের কারণে সন্ত্রাসের ঝুঁকি বেড়েছে এ দাবি ঠিক নয়। আর নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেন ওয়ালেস অভিযোগ করেন, ম্যানচেস্টার ও লন্ডনের ঘটনা নিয়ে করবিন রাজত্ব করছেন।
পশ্চিমা দেশগুলোয় বিশেষত মার্কিন মুলুকে প্রচলিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকেন্দ্রিক বিতর্ক অনুষ্ঠান এখন ব্রিটেনেও প্রচলিত হয়েছে। এরই মধ্যে স্কাই নিউজ ও চ্যানেল ফোরের যৌথ প্রযোজনায় মে এবং করবিন আলাদাভাবে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে থেরেসা মে মার্কিন স্টাইলে টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠানে সম্মত হননি। উত্তরে করবিন বলেছিলেন, ‘থেরেসা মে ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরি নিতে চাইছেন। পরে নাগরিক সাধারণের প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হন তিনি। এতেই তার জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা লক্ষ করা যায়। কনজারভেটিভ সরকারের বিগত সাত বছরের পর্যালোচনা, ব্যর্থতা এবং বারবার নিজ মত পাল্টানো নিয়ে দর্শকদের প্রশ্নে বিব্রত হন থেরেসা মে। সাত বছর ধরে নানা ধরনের কল্যাণসেবা বাতিল, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বাজেট কর্তন এবং নানা বিষয়ে যথার্থ উত্তর দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এতে জনসাধারণের মধ্যে তার সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটিগুলো স্পষ্টতর হয়েছে। বিপরীতে শ্রমিক দল নেতা জেরেমি করবিন নিজের যুদ্ধবিরোধী অবস্থান এবং কট্টর বামপন্থী নীতির প্রশ্নে কঠিন সময় পার করলেও এগিয়ে রয়েছেন ‘সমাজ বদলের’ বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে। দর্শকদের প্রশ্নের জবাবে জেরিমি করবিন বলেন, ব্রেক্সিট কার্যকর করবেন। তবে অভিবাসন কমানোর কোনো লক্ষ্য ঠিক করতে রাজি নন। কারণ কনজারভেটিভ দল লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে গত সাত বছরে তেমন কিছু করতে পারেনি। যুদ্ধনীতি বাদ প্রশ্নে করবিন বলেন, লিবিয়ায় পাশ্চাত্যের হামলা দেশটিকে সরকারহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সন্ত্রাস বাড়ায় এবং কারো জন্য তা নিরাপদ নয়। মধ্যপ্রাচ্যের হামাসের মতো সংগঠনগুলোর বিষয়ে করবিন বলেন, সঙ্ঘাত নয়, অলোচনার মাধ্যমেই সমাধানে বিশ্বাসী তিনি।
নির্বাচনে কে জিতবে?
সাম্প্র্রতিক বিষয়-আশয় পর্যালোচনায় আনায় রাজনৈতিক পর্যবেক মহল আশঙ্কা করছে, আজ ৮ জুন অনুষ্ঠেয় ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচনে পার্লামেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
এর অর্থ হলোÑ কনজারভেটিভ দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-ও পেতে পারে। আগের মতোই তারা কোয়ালিশননির্ভর থাকতে পারে। এমনকি কম ব্যবধানে পরাজিত হলে শ্রমিক দলের জন্য সরকার গঠনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে কনজারভেটিভ দলের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। প্রথম মেয়াদে ক্যামেরন সরকার যেমন অন্যদের সহযোগিতায় সরকার গঠন করে, তেমনি কোয়ালিশনের সুযোগ পেতে পারে লেবার পার্টি। বেসকারি জরিপ প্রতিষ্ঠান ‘ইউগভ’ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সেটির ওপর ভিত্তি করে এর পূর্বাভাস দেয়া যায়। এর আগে পরিচালিত পৃথক জরিপে দেখা গিয়েছিল, আগাম নির্বাচনে বেশ বড় জয় পেতে যাচ্ছেন থেরেসা মে। তবে কথিত টেলিভিশন বিতর্কের পর তার জনপ্রিয়তা সঙ্কুুচিত হয়ে আসে।
অন্য দিকে প্রধান বিরোধী শ্রমিক দলের নেতা জেরেমি করবিন নতুন নতুন কথা বলে দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। ৫০ হাজার লোকের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি জরিপ প্রতিবেদনে ইউগভ জানায়, ২০১৫ সালের নির্বাচনে পূর্বসূরি ডেভিড ক্যামেরন পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৩৩১ আসনে জয় লাভ করেছিলেন। জরিপে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে, থেরেসা মে ২০টি আসন হারাতে পারেন। অন্য দিকে লেবার পার্টি গতবারের চেয়ে এগিয়ে ২৫৭টি আসন পেতে পারে। গতবারের নির্বাচনে লেবার ২৩২টি আসন জিতেছিল। এসব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিতে পারে থেরেসা মের সিংহাসন। সরকার গঠন করতে হলে অন্তত ৩২৬টি আসনে জয় পেতে হবে। কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টি কেউই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে পার্লামেন্ট হবে ‘ঝুলন্ত’ বা হ্যাং। এতে চলমান অস্থিরতার অবসান না হয়ে বরং অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হতে পারে।



from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2r3RWEU

June 08, 2017 at 09:28AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top