কলকাতা, ১৭ জুন- বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার নামে ব্যবসার অভিযোগ অনেক দিনের। সম্প্রতি রাশ টেনেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু স্কুলের ব্যবসায় ফাঁদ আরও বড়। রাজ্য সরকার কি নাগাল পাবে? এই বিশেষ রিপোর্টে কোনও নির্দিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়, উঠে এসেছে গোটা ব্যবস্থার মধ্যেকার গলদ। বেসরকারি স্কুলের অতিরিক্ত রোজগার নিয়ে সম্প্রতি কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৩১ মে কলকাতার টাউন হলে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন তিনি। সেখানে অতিরিক্ত ভর্তি ফি, টিউশন ফি এবং ডোনেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। কিন্তু এ সবের আড়ালেও রয়েছে এক মস্ত কারবার। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, স্কুলে ভর্তি নিয়ে খোদ কলকাতায় চলে কালো টাকার রমরমা। নগদ টাকায় ঘুষের বিনিময়ে নামী স্কুলের ভর্তির তালিকায় সন্তানের নাম তুলতে হয় অভিভাবকদের। ঘুষ নেওয়ার লোকেরও যেমন অভাব নেই, তেমনই অভাব নেই ঘুষ দিয়ে ব্র্যান্ডেড স্কুলে সন্তানকে পাঠানো বাবা-মায়ের। এই সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গিয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কুলে ভর্তির ফি, টিউশন ফি, ডোনেশন বেশি হলেও ঘুষের কারবার বেশি চলে কলকাতার নামী মিশনারি স্কুল গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে। অনেক সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরের বাইরে থেকে যায় লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন। এই ভয়ানক কালো কারবারের গল্প শোনালেন কলকাতার বিখ্যাত ক্যালকাটা বয়েস স্কুলের এক প্রাক্তনী। বরাবর মিশনারি চিন্তা ভাবনার মধ্যে বড় হওয়া সেই প্রাক্তনী এখনও যুক্ত স্কুল পরিচালনায়। তাঁর গলায় রীতিমতো আক্ষেপের সুর। বললেন, অনেক বড় আদর্শ নিয়ে এই সব স্কুলের সূচনা। গরিব মানুষের মধ্যে শিক্ষার বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে শুরু হওয়া স্কুলগুলি ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানদের এডুকেশন স্টোর হয়ে উঠেছে। রীতিমতো টাকার বিনিমেয় শিক্ষা বিক্রি হয়। বড়লোক কিনতে পারে, গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা ওই স্কুলে যেতেই পারে না। এ আর/১২:১০/১৭ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sJkuDw
June 17, 2017 at 06:10PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top