নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও বিয়ানীবাজার উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বিয়ানীবাজার পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা।
বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদি পশুও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। বন্যা কবলিত এলাকায় বিভিন্ন ধরণের পানি বাহিত রোগে দেখা দিয়েছে। এদিকে সিলেটের সাথে বিয়ানীবাজারের সরাসরি সড়ক যোগযোগ প্রায় বন্ধ রয়েছে।
কুশিয়ারা নদীর পানি বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে দুই পয়েন্ট কমে বিপদ সীমার ২১ পয়েন্টের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের আরও বেশ কিছু অংশ তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে সিলেটের সাথে যোগাযোগের বিকল্প সড়ক বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের বেশির ভাগ অংশ।
শুক্রবার বিয়ানীবাজার উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামান ও পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর।
দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মাথিউরা, তিলপাড়া, লাউতা, মুড়িয়া ও বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৮০ ভাগ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। বাসা-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় মানুষজন আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদি পশুগুলো উচু স্থানসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে নিয়ে রাখা হচ্ছে।
বন্যায় ৭ ইউনিয়ন ও পৌররসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন দুবাগ, শেওলা, লাউতা ও তিলপাড়া ইউনিয়নের অধিবাসীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহসড়কের যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। দূরপাল্লার বাস ও মাল বোঝাই ট্রাক সীমিত আকারে চলাচল করেছে। সড়কের বেশ কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়া অটোরিক্সা, মাইক্রো চলাচল করেনি। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রিরা । সড়কের ডুবে যাওয়া অংশ মানুষজন টেক্ট্রর ও পায়ে হেঁটে পাড়ি দিতে দেখা গেছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান বলেন, বন্যার পরিস্থিতি দু-একদিনের মধ্যে উন্নতি হবে বলে আমাদের আশা। এরই মধ্যে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, সরকারি ত্রাণ সামগ্রি আজকের মধ্যে পৌছে যাবে। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারের মধ্যে এসব ত্রাণ পৌছে দেয়ার। তিনি সকলের সহযোগিতায় কামনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামান বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে সাড়ে ১৪ টন ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শীঘ্রই বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাসনের কাছে এ ত্রাণ এসে পৌছাবে। পরে বিয়ানীবাজার বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2u6S9oA
June 30, 2017 at 08:59PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন