প্রবাসী নিখোঁজ : কানাইঘাট গ্রামের বাড়ীতে আর্তনাদ

মাছুম কাদির, কানাইঘাট প্রতিনিধি :: ফ্রান্স প্রবাসী এখলাছুর রহমান মাসুমের জন্য দোয়া আর আর্তনাদের মধ্য দিয়ে তার গ্রামের বাড়ীতে সময় পার করছেন মা, বাবা ও আত্মীয় স্বজন।
জানা যায়, কানাইঘাটের এক মেধাবী শিক্ষার্থী ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে গিয়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১ জুন দেশে ফেরার পথে অদ্যবধি পর্যন্ত তার সঠিক কোন সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সে উপজেলার সাতবাঁক ইউপির জুলাই গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আতিকুর রহমানে পুত্র মেধাবী শিক্ষার্থী এখলাছুর রহমান মাসুম (২৩)। স্টুডেন্ট ভিসায় গত ১৫ অক্টোবর লিথুসেনিয়া গিয়ে ফ্রান্সে চলে যায় এখলাছুর রহমান মাসুম। সেখানে ৩/৪ মাস থাকার পর মাসুম মানসিক ভারসাম্য হারিয়া ফেললে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি হাসপাতালে মাস খানেক ভর্তি ছিলো সে।
এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ফ্রান্সে বসবাসরত কানাইঘাটের প্রবাসী জুলাই গ্রামের ফারুক আহমদ, কয়সর, মাসুমসহ কয়েকজন যুবক অসুস্থ অবস্থায় এখলাছুর রহমান মাসুমের সবকিছু প্রসেসিং করে গত ১ জুন ফ্রান্সের সময় রাত ১০টার দিকে কাতার এয়ারলাইন্স ৩৩০নং ফ্লাইটে টিকেটের মাধ্যমে ফ্রান্স বিমানবন্দরে এনে দেশের উদ্দেশ্যে মাসুমকে পাঠান।
পরদিন ২ জুন মাসুমের পিতা আতিকুর রহমান পুত্রকে নিয়ে আসার জন্য ঢাকা আর্ন্তজাতিক শাহজালাল বিমান বন্দরে যান। যথারীতি কাতার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে বিকেল ৫টার সময় অবতরন করলেও মাসুমকে খোঁজে পাননি তার পিতা আতিকুর রহমান। তিনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা তার পুত্রের কোন সন্ধান দিতে পারেননি। মাসুমের আত্মীয় স্বজনরা তার নিখোঁজের বিষয়টি ফ্রান্সে বসবাসরত যারা তাকে বিমানবন্দরে তুলে দিয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করলে অদ্যবধি পর্যন্ত মাসুম দেশে এসেছে কি না অথবা সে ফ্রান্স বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীন এলাকায় রয়েছে এই ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না।
ফ্রান্স প্রবাসী কয়সর আহমদ জানিয়েছেন, তিনিসহ কয়েকজন মাসুমকে ১লা জুন ফ্রান্স আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে দেশের উদ্দেশ্যে পাঠান, পরবর্তীতে সে দেশে না যাওয়ায় আমরা সংশ্লিস্ট ট্রাভেলস্ এ যোগাযোগ করলে ট্র্যাভেলস্ কর্তৃপক্ষ বলেন, ১লা জুন ফ্রান্সের কাতার এয়ারলাইন্সের ৩৩০নং ফ্লাইটে এখলাছুর রহমান মাসুম নামে কোন যাত্রী উঠেনি।
এদিকে, পুত্রের কোন সন্ধান না পেয়ে মাসুমের পিতা আতিকুর রহমান, মাতা হোসনেআরা বেগম ও ভাই, বোন আত্মীয় স্বজনরা বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন। তারা মাসুমের সঠিক সন্ধান এবং সে বর্তমানে ফ্রান্স বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে কিনা এব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার এবং ফ্রান্স-বাংলাদেশ দূতাবাস ও ফ্রান্স সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2sLE6Ej

June 10, 2017 at 12:50AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top