নিজস্ব প্রতিবেদক ● কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা। জেলা সদর থেকে পশ্চিম-দক্ষিণে অবস্থিত এই উপজেলাটি ঐতিহাসিক লালমাই পাহাড়ের কোল ঘেষে অবস্থান। এখানকার একটি বাজারের নাম কাদবা। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার এবাজারে উপজেলার বিভিন্নস্থানে উৎপাদিত হাজার হাজার কেজি লতি নিয়ে বিক্রেতারা ভীড় করেন।
আর পাইকাররা সেটা ক্রয় করে পাঠাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামে। সেখান থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় প্যাকেট করে রপ্তানী করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। আসছে বৈদেশিক মুদ্রা। বিক্রেতারাও বাজার দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন এর উৎপাদনও বাড়ছে ব্যাপকভাবে।
বরুড়া উপজেলার পৌর এলাকাধীন কাদবা গ্রাম। এর পশ্চিম অংশে পশ্চিম কাদবা নামে পরিচিত এলাকাটিতে বেশ কিছু দিন আগে গড়ে উঠে সাপ্তাহিক হাট। প্রতি শনি ও মঙ্গলবারে এখানে হাট বসে। বরুড়া ছাড়াও পাশ্ববর্তী সদর দক্ষিণ, সদর, বুড়িচং, চান্দিনা উপজেলা থেকেও বিভিন্ন তরিতরকারি নিয়ে বিক্রেতারা হাজির হতো।
কালের পরিক্রমায় সেই বাজারটি এখন জেলার বৃহৎ লতি’র বাজার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আগে বিভিন্ন তরিতরকারি নিয়ে বিক্রেতারা আসলেও এখন আর সেরকম না।
সাপ্তাহিক হাটের দু’দিন বরুড়ার শরাফতি, মগুজি, কসমি, নিশ্চিন্তপুর, পুরাতন কাদবা, বরাইপুর, যশপুর, পেনুয়া, পাক্কামোড়া, লইপুরা, করিয়াগ্রাম, হুরুয়া, পাঠানপাড়া, লক্ষিèপুর, ঝাঁলগাও, নয়নতলা, পোনতলা, বাতাইছড়ি, খোশবাস, সদর দক্ষিণের বাগমারা, ভূশ্চি, লালমাই, বুড়িচং এর নিমসার, সদর উপজেলার কালিরবাজার, কমলাপুর, মনষাসন, হাতিগাড়া, কৃষ্ণপুর, জাঙ্গালীয়া, চান্দিনার পিহর, মাইজখার, ছায়কোট, রামমোহন সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত কৃষক সাপ্তাহের উল্লেখিত দু’দিন তাদের উৎপাদিত লতি নিয়ে হাজির হচ্ছেন পুরাতন কাদবা বাজারে।
বাজারে কথা হয় কৃষক হালিম ও বাদশার সাথে। তারা বলেন, সপ্তাহের দু’দিন বরুড়া ও এর আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অনেক কৃষক তাদের চাষকরা জমিতে উৎপাদিত লতি নিয়ে আসে। সেখানে পাইকাররা কিনে ট্রাক যোগে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট নিয়ে যায়।
এরকম একজন পাইকারী ক্রেতা জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, পুরাতন কাদবা বাজার থেকে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ টনের বেশী লতি ঢাকা, চট্টগ্রাম হয়ে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এখান থেকে উৎপাদিত লতি বছর জুড়েই সৌদিআরব, কাতার, ওমান, দুবাই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া যাচ্ছে। আর এর মাধ্যমে আসছে বৈদেশিক মুদ্রা।
The post বরুড়ার লতি সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশেও appeared first on Comillar Barta.
from Comillar Barta http://ift.tt/2qTb6NM
June 05, 2017 at 08:22PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন