নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক জলপ্রপাত ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ইকোপার্ক মাধবকুন্ডে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জলপ্রপাতের রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল, ভূমি ধস ও দেবে যাওয়ায় অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে ইউএনও ও পর্যটন পুলিশ এ আদেশ জারি করেন। এদিকে, আকস্মিক দুর্যোগে মাধবকুন্ডে পর্যটন ব্যবসায় ধস নামার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রতি ঈদকে লক্ষ্য করে ১০-১৫ দিন আনন্দ উপভোগ করতে জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক এলাকায় হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় জমে। কিন্ত এবার ঈদ উপলক্ষে মাধবকুন্ড পর্যটক শূন্য থাকবে বলেই অনেকে মনে করছেন। এতে ইকোপার্কের গেইট ইজারাদারকে আর্থিক লোকসানও গুণতে হবে।
বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের সড়কের পর্যটন রেস্তোরাঁ এলাকার কাছে প্রায় ৪০ ফুট জায়গা প্রায় দুই ফুটের মতো নিচের দিকে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া অংশটি ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। এছাড়া রোস্তারাঁর কাছে উপরে উঠার সিঁড়ির বামপাশের নিচের প্রায় ৪০ ফুট এবং জলপ্রপাতের কাছে নামার সিঁড়ির ডান পাশের নিচের প্রায় ৩০ ফুটের মতো জায়গার মাটি সরে গেছে। এতে ইকোপার্কের সড়ক ও সিঁড়ি দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। ফলে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকাটিও এখন পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। যেকোনো মুহূর্তে স্থানটিতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে অভিযোগ রয়েছে-সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার চলমান সিড়ি নির্মাণ কাজে অনিয়ম করায় তাতে ফাটল দেখা দেয় এবং নিচের দিকে দেবে যায়। ফলে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকাটি পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কোন পর্যটককে ইকোপার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে মাধবকুন্ড পর্যটন পুলিশের ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘জলপ্রপাতের ভেতরের রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় বড়বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গা নিচের দিকে দেবে গেছে ও ধসে পড়েছে। যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পর্যকটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, ‘টিলা ধসের কারণে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পর্যটনকেন্দ্রটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2takJs9
June 25, 2017 at 11:05PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন