লস অ্যাঞ্জেলেস, ২৬ জুন- বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিল্ম-ফ্র্যাঞ্চাইজি। আকর্ষণ আর উত্তেজনায় ভরা প্রতিটি বন্ড মুভি। কেউ বন্ড সিরিজের গেজেটের জন্য পাগল, কেউ বা বন্ডর সাহসিকতার ভক্ত। গত কয়েক দশক ধরে পৌরুষের মাপকাঠিই হয়ে উঠেছেন। যে পুরুষ যত বেশি বন্ডের মতো, সে যেন তত বেশি পৌরুষদীপ্ত, বিষয়টা অনেকটা এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বন্ডের সেই প্রভাব কমলেও, প্রতাপ এখনও কমেনি। আর কমেনি বন্ড গার্লদের আকর্ষণ।তবে এসবকেই ছাপিয়ে যায় বন্ড সিরিজের বন্ড গার্লরা। প্রতিটি বন্ড সিরিজেই দেখা যায় ক্যাসিনোভা গোয়েন্দা জেমস বন্ডকে একেক জন সুন্দরীদের সঙ্গে। কোনো সিরিজে থাকে রাশিয়ান সুন্দরী, কোনোটায় গ্রিক। কোনো সুন্দরীকে আমদানি করা হয় ইতালি থেকে, কাউকে আবার জাপান থেকে। এবারের বন্ড গার্ল এসেছে ফ্রান্স থেকে। পুরো বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে আছে বন্ড গার্লরা বন্ড যখন পৌরুষের উদাহরণ হয়ে যায় তার, বিপরীতে বন্ড গার্ল হয়ে ওঠে আইকনিক সেক্স সিম্বল। তাই প্লেবয়ের কাভারের মতোই বন্ড গার্ল হতে পারাটাও তন্বী অভিনেত্রীদের জন্য পরম আকাঙ্ক্ষিত হয়ে ওঠে। আর রূপালি পর্দায় বন্ড গার্লদের আকর্ষণীয় উপস্থিতি দর্শকদের মনেও মনোরম দোলা দিয়ে যায় অবিরাম। এ পর্যন্ত বন্ড সিরিজের মোট ২৪টা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তাতে বন্ড চরিত্রে অভিনয় করেছেন ৭ জন। আর বন্ড গার্লের দেখা মিলেছে অসংখ্য। এদের কেউ বন্ডের সহযোগী, কেউ শত্রু, কেউ বা আবার স্রেফ আই-ক্যান্ডি। জেমস বন্ডের অসংখ্য সঙ্গিনীর মধ্যে থেকে সেরা ৫ বন্ড গার্লের দিকে চোখ রাখা যাক। উরসুলা অ্যান্ড্রেস প্রথম বন্ড সিরিজের প্রথম বন্ড গার্ল। যার আকর্ষণীয়তা এবং আবেদনকে এখনো স্পর্শ করতে পারেনি কেউ। সুইম স্যুট পড়ে ক্যারিবীয় সাগর থেকে উঠে আসা উরসেলার সেই ভঙ্গি আজ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যেতে পারেনি কেউ। ডক্টর নো-তে উরসুলার পরা আইকনিক সেই সুইম স্যুটটি ২০০১ সালে নিলামে ওঠে। যা বিক্রি হয় ৫৬ হাজার ডলারে। এখন উরসেলার বয়স ৭৬। এখনো সবাই তাকে হানি রাইডার নামেই চেনে। ক্যারিয়ারের শুরুতে এই আইকনিক অভিনেত্রী বিয়ে করেন পরিচালক জন ডেরেককে। পরবর্তীতে তার সসঙ্গে তার বিচ্ছেদও হয়। কিন্তু এরপর আর বিয়ে করেননি তিনি। জনপ্রিয় অভিনেতা মারলন ব্র্যান্ডে এবং জেমস ডিনের সঙ্গে এই বন্ড গার্লের প্রেমের সম্পর্ক ছিল অনেক বছরের। ডায়না রিগ এখন তার বয়স ৭৩। জেমস বন্ডের একমাত্র স্ত্রী। ১৯৬৯ সালের অন হার মেজেস্টিস সিক্রেট সার্ভিসেস ছবিতে ট্র্যাসি চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এ পযর্ন্ত জেমস বন্ডের একমাত্র স্ত্রী এই ট্র্যাসিই ওরফে ডায়না। যদিও ছবিতে বিয়ের দিনই গুলিতে এই বন্ড গার্লের মৃত্যু হয়। কিন্তু বন্ডের স্ত্রী হওয়ার গৌরব ডায়না ছাড়া আর কেউই আজ পর্যন্ত অর্জন করতে পারেনি। তবে বন্ডের স্ত্রীর চেয়ে ডায়না সবচেয়ে বেশি খ্যাতি অর্জন করেন বৃটিশ টিভি সিরিজ দ্য অ্যাভেঞ্জার-এ এমা চরিত্রে অভিনয় করে। অনর ব্ল্যাকম্যান ১৯৬৪ সালের গোল্ডফিঙ্গার ছবির পুসি গ্যালোরকে ভোলা বন্ড ভক্তদের অনেক কঠিন। পুসি শুধু বন্ড ভক্তদের মনেই না, জায়গা করে নিয়েছিল বন্ড স্রষ্ঠা ইয়ান ফ্লেমিংয়ের মনেও। লাস্যময়ী পুসি চরিত্রের সেই অনরের বয়স এখন ৮৬। যিনি অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। বন্ড স্ত্রী ডায়নার মতো এই বন্ড গার্লেরও দ্য অ্যাভেঞ্জার খ্যাতি রয়েছে। জেন সেমোর বন্ড সিরিজের লিভ অ্যান্ড লেট ডাই ছবিতে কাজ করেছিলেন এই সুন্দরী। যিনি ছবিতে ট্যারোট কার্ড রিডার এবং অ্যাধাত্মিক ক্ষমতা সম্পন্ন এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এখন জেনের বয়স ৬১। চারবার বিয়ে হয়েছে তার, চার সন্তানের জননী তিনি। সেই বন্ড ছবির পর সামহোয়ার ইন টাইম এবং ডক্টর কুইনিন: মেডিসিন উইমেন নামে ছবিতে অভিনয় করে নিজের স্বতন্ত্র একটি পরিচিত গড়ে তোলেন জেন। তিনি জিতে নেন একটি অ্যামি, দুটো গোল্ডেন গ্লোব এবং হলিউডের ওয়াক অফ ফেইমে জায়গা। মড অ্যাডামস সত্তর দশকের সুপারমডেল ছিলেন মড। যাকে ১৯৭৪ সালের দ্য ম্যান উইথ গোল্ডেন গান ছবিতে বন্ড খলনায়কের রক্ষিতার ভূমিকায় দেখা যায়। অ্যান্ড্রিয়া অ্যান্ড্রেস চরিত্রে মড বিশ্বজুড়ে বেশ আলোড়ন তোলেন। তার কথা বলার ভঙ্গি, তার আবেদন-সবই বন্ড গার্ল হিসেবে খাপে খাপে মিলে গিয়েছিল।এখন মডের বয়স ৬৭। তবে এখনো তার ভেতর ওই বন্ড গার্লের তেজ দেখা যায়। শুধু ওই এক ছবিতেই না। ১৯৮৫ সালে বন্ড সিরিজের ছবি এ ভিউ টু কিল-এও মডকে এক্সটা হিসেবে দেখা গিয়েছিল। আর/১৭:১৪/২৬ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rSvdYV
June 26, 2017 at 09:56PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন