সুরমা টাইইমমস ডেস্ক : অ্যাজমা বা হাঁপানি সারাতে তাজা টাকি মাছ খাওয়ানো হয় ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে। সেখানে এটা এখন রীতিতে পরিণত হয়েছে। তাই প্রতি বছর ৫ হাজারেরও বেশি হাঁপানি রোগি গিয়ে লাইন ধরেন এ চিকিৎসা নিতে। তাদেরকে জীবন্ত এই মাছের সঙ্গে গাছ গাছড়া দিয়ে তৈরি হলুদ এক রকম পেস্ট মিশিয়ে দেয়া হয়। এটা গিলে খেলেই রোগিরা সহজে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবেন বলে বিশ্বাস সবার মাঝে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি রিলাক্স নিউজ। এক্ষেত্রে যে টাকি মাছ নেয়া হয় তা লম্বায় দুই ইঞ্চি। রোগির জিহ্বা বের করে তার গলার কাছাকাছি দিয়ে দেয়া হয় এই মাছ। একবার এই মাছ গিলে ফেললেই হাঁপানি থেকে মুক্তি- এমন ধারণায় সেখানে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়। চিকিৎসা দিচ্ছে বাথিনি গোড় নামে একটি পরিবার। তারা বলেছে, জীবন্ত এই মাছ গিলে খেলে তা যখন গলার ভিতর দিয়ে নিচের দিকে নামতে থাকে তখন গলা পরিষ্কার করে দেয়। এতে শ্বাস প্রশ্বাসের অন্যান্য সমস্য সহ হাঁপানি ভাল হয় স্থায়ীভাবে। তবে এক্ষেত্রে কি ফর্মুলা অনুসরণ করা হয় তা প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ওই পরিবারটি। তাদের দাবি, তারা ১৮৪৫ সালের এক হিন্দু সন্ন্যাসির কাছ থেকে এই তত্ত্ব পেয়েছেন। কিভাবে এই মাছ খাওয়ানো হয় এ বিষয়ে অল্প বিস্তর জানা গেছে। কোন শিশু যদি হাঁপানিতে আক্রান্ত হয় তাহলে পিতামাতাকে বাধ্য করা হয় তাকে হা করাতে। অন্যরা তখন তার নাক বন্ধ করে ধরে। মাথা পিছন দিকে নিয়ে হা করিয়ে ধরে। বন্ধ রাখে ওই শিশুর চোখ। এরপরই তার মুখের ভিতর ছেড়ে দেয়া হয় টাকি মাছ। এ চিকিৎসা নিতে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার রোগি জমায়েত হন ওই পরিবারে। কিন্তু এ চিকিৎসাকে অবৈজ্ঞানিক বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার গ্রুপগুলো ও চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এ চর্চা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ভারত সরকার। ভিড় সামলাতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2r6gTve
June 10, 2017 at 11:52PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন