কলকাতা, ২২ জুন- লক্ষ্মণ শেঠ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, মানস ভুঁইয়া তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন। কিন্তু বুধবার রাজ্য রাজনীতি দেখল এক অবাক দল-বদল। এক দিন যাঁকে নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁকে ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করায় আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন সে দিনের যুব কংগ্রেস সভানেত্রী, তাঁকেই আজ সাদরে তৃণমূল কংগ্রেসএ নেওয়া হল। কংগ্রেস ছাড়লেন রাণাঘাট উত্তর-পশ্চিমের কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর সিংহ। হাতে তুলে নিলেন তৃণমূলের পতাকা। তাঁরই সঙ্গে কংগ্রেসের আর এক বিধায়ক এলেন তৃণমূলে। তিনি নদিয়ার শান্তিপুরের কংগ্রেস বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তবে কংগ্রেসে ভাঙনের যে এখানেই শেষ নয়, আরও বড় চমক যে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর জন্য অপেক্ষা করছে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তৃণমূল এখন ২২১। কংগ্রেস ৪১ থেকে কমে ৩৬। আরও বড় ভাঙন অপেক্ষা করছে। আরও এক ধাপ এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, আবদুল মান্নানকে জিজ্ঞাসা করুন কবে ছাড়ছেন, ছাড়ার সময় হয়ে এল তো। এ বার তাঁকে বিরোধী দলনেতার পদ তো হারাতে হবে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নদিয়ার শঙ্কর সিংহ। রাজনৈতিক মহলে যে জল্পনা তাতে রাজ্যসভা নির্বাচনের আগেই আরও বড় ভাঙন অপেক্ষা করছে কংগ্রেসের জন্য। শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর, কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকার এবং ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক। এ দিন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে শঙ্কর সিংহ বলেন, ইন্দিরা গাঁধী ১৯৮৪ সালের ৩০ অক্টোবর বলেছিলেন, আমার শেষ রক্ত দিয়ে অখণ্ডতা রক্ষা করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অখণ্ডতা রক্ষার কথা বলছেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই করে কংগ্রেসকে শেষ করা যাবে না। ক্ষমতা থাকলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দাঁড়াক। অধীর অনুগামী কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী এ দিন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, শঙ্করকে টিকিট দেওয়া হলে ফাঁসি দেবেন। আজ সেই শঙ্করকে গলার মালা করে ট্রেজারি বেঞ্চে নিয়ে আসছেন। আর/০৭:১৪/২২ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sDbDRD
June 22, 2017 at 02:37PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top