সুরমা টাইমস ডেস্ক;আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো ও ভ্যাট বিষয়ে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর থাকা সাংসদের একহাত নিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে একের পর আক্রমণের পর এবার তাঁর পক্ষে সংসদে কথা বললেন প্রবীণ এ আওয়ামী লীগ নেতা।
প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা অর্থের ওপর আবগারি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কড়া সমালোচনা করে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু। এর জবাবে বুধবার বাবলুকে উদ্দেশ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আপনার মামাশ্বশুর ত অর্থমন্ত্রীর বেশি বয়েসি, তাঁর পদত্যাগ দাবি করলে ভালো হতো।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি মনে করি, সমালোচনা করার অধিকার আমাদের সবার আছে। কিন্তু এই সমালোচনা হবে গঠনমূলক। যিনি একজন প্রাজ্ঞ, যিনি ১২টি বাজেট দিয়েছেন, জনাব জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেছেন, কালকে যে আর আপনার দরকার নাই। ১২টা দিয়েছেন, আপনি এখন বিদায় হন। আপনার কাছে ইত্যাদি ইত্যাদি। উনি আরো দেবেন ইনশাআল্লাহ, উনি যদি বেঁচে থাকেন। আর আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে, উনি আরো বাজেট দেবেন ইনশাআল্লাহ। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর তাঁর প্রতি আস্থা আছে।’
এ সময় এরশাদের বয়সের প্রসঙ্গ তুলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার খুব অবাক লাগছে, আমাদের জিয়াউদ্দিন বাবলু আমার খুব প্রিয় লোক। সেই ছাত্রজীবন থেকে ভালোবাসি। তাঁর মামাশ্বশুর, তাঁর নেতা, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বাবলু কী করে ভুলে গেল যে তাঁর বয়স ৮৬-এর বেশি। আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রীর থেকেও যে বেশি। যদি বলত যে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আপনার অনেক বয়স হয়েছে, আপনি এখন পদত্যাগ করেন। তাহলে কথাটা খুব ভালো ছিল।’
গতকাল সংসদে দাঁড়িয়ে জিয়াউদ্দিন বাবলু করের টাকায় ব্যাংকে ভর্তুকি দিতে অর্থমন্ত্রী যে পরিকল্পনা করেছেন, তার কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত বিড করছে, আর উনি বলছেন, লুটপাট হচ্ছে। লুটের টাকা ভরণপোষণ কীভাবে করবেন? আপনারা এই বাজেটে বলেছেন, দুই হাজার কোটি টাকা আপনি ট্যাক্সপেয়ারের মানি দেবেন। মানুষের টাকা দিয়ে দুই হাজার কোটি টাকা ভরিয়ে ওই যে লুট করেছে, লুটের টাকাকে আপনি পূরণ করবেন।’
‘উনার (অর্থমন্ত্রী) কোনো অধিকার নাই যে, ডিপোজিটরস মানি থেকে, ট্যাক্সপেয়ারের মানি থেকে আপনি লুটের টাকার যে ঘাটতি হয়েছে, লুট করার কারণে, সেটা পূরণ করবেন। কোনো অধিকার আছে? উনাকে তো আইনের আওতায় আনতে হবে তাহলে। উনাকে তো আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, অর্থমন্ত্রীকে। উনার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জ আনা উচিত সে জন্য’, যোগ করেন বাবলু।
এর আগে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে একতরফা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2rUMDmV
June 21, 2017 at 06:13PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন