দার্জিলিং, ৮ জুনঃ আর ঘণ্টা দুয়েক পরেই দার্জিলিংয়ের রাজভবনে রাজ্য মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠক। ৪৩ বছর পর পাহাড়ে আবার মন্ত্রিসভার বৈঠক বসছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের শাসকদলের বিরোধিতা করে এসেছে পাহাড়ের শাসকদল। তাই এই বৈঠকের প্রশাসনিক গুরুত্ব যতটা তার চেয়েও অনেক বেশি তার রাজনৈতিক গুরুত্ব। বিশেষ করে বাংলা ভাষাকে সামনে রেখে বাংলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে পুরোনো বায়না বিমল গুরুংরা নতুন করে শুরু করেছেন, তার প্রেক্ষাপটেই আজকের বৈঠকের গুরুত্ব অনেক।
বিমলদের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ের সাধারণ মানুষের কিছু আসে যায় না, বরং পাহাড়ে বন্ধ ডাকলে তাদের রুটিরুজিতে টান পড়ে। অন্যদিকে পাহাড়ে উন্নয়ন হলে, পর্যটক এলে এখানকার মানুষেরই আর্থিক লাভ– এই কথাটাই পাহাড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়কে বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছেন।
গত চারদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে ঘাঁটি গেড়ে বসে বিমল গুরুংদের আন্দোলনকে যেভাবে উপেক্ষা করে চলেছেন তাতে একটি বিষয় পরিষ্কার—পাহাড়ে বাংলা ভাষা বহাল রাখা নিয়ে কোনো প্রসঙ্গ তিনি মন্ত্রীসভার বৈঠকে তুলতে চান না। তার বদলে উন্নয়নকেই অস্ত্র করে দার্জিলিং ও গোটা পাহাড়ের জন্য বেশকিছু প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেন তিনি। উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে কৈফিয়ত চাইতে পারেন।
ইতিমধ্যেই তিস্তার বাঁ-হাতি খালের কাজ নিয়ে বেশ অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুখা মরশুমে রাজগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকরা যে তিস্তা ক্যানেল থেকে জল পাননি, সেকথা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছেছে। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এ ব্যাপারে জবাব চাইতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে চোরাশিকারিদের দাপট, বিশেষ করে গরুমারায় গন্ডার চোরাশিকার নিয়ে বনমন্ত্রীকেও অপ্রিয় প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের কাজের গতি নিয়ে কৈফিয়ত চাইতে পারেন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছেও। তবে সামগ্রিকভাবে পর্যটন দপ্তরের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খুশি। গজলডোবার প্রকল্প ছাড়া বাকি কাজের গতি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2rNVRTa
June 08, 2017 at 10:11AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন