সংসদে প্রবীণ সাংসদরা দাঁড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রীর পাশে।

সুুরমা টাইমস ডেস্ক :: বাজেট নিয়ে সংসদে বিরোধীদল ও নিজ দলের সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল বাদুল মুহিত। এমনকি তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে। তবে অবশেষে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রবীণ নেতারা।
বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই বাজেট অর্থমন্ত্রী একা দেননি, এটা আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দিয়েছেন। এর জন্য বর্ষিয়ান প্রাজ্ঞ একজন অর্থমন্ত্রীকে সমালোচনার মুখে ফেলা উচিত নয় বলেও জানান তিনি।
তোফায়েলের সুরে বৃহস্পতিবার সংসদে কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আব্দুল মতিন খসরু। এতে তোপের মুখে থাকা অর্থমন্ত্রী আজকের অধিবেশনে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ছিলেন।
আমু অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণের সমালোচনা করেন বলেন, ‘এই বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে মন্ত্রিসভায় পাস হয়। তখন কেউ কোনো আপত্তি করেননি। ব্যক্তিগতভাবে অর্থমন্ত্রীর প্রতি এখানে কটাক্ষ করে অনেকে বক্তব্য দিয়েছেন। এটা অনভিপ্রেত। একটা বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেটের ভেতর ভালো-খারাপ থাকতে পারে। সেটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। সেই আলোচনা আমরা করছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ৩০ তারিখে একটা সিদ্ধন্ত আসবে। কিন্তু এজন্য অপেক্ষা না করে যারা সমালোচনার নামে কটাক্ষ-কটূক্তিপূর্ণ মন্তব্য করছেন এটা ঠিক নয়, দুঃখজনক।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাজেট নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। সংসদ সদস্য হিসেবে, মন্ত্রী হিসেবে একজন নাগরিক হিসেবে এগুলো পড়ছি ও শুনছি। ১৫ শতাংশ ভ্যাট, আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রে সুদ হার নিয়ে সব কথা হচ্ছে। সবাই অর্থমন্ত্রীর দিকে তীর ছুঁড়ছেন, তাকে দোষারোপ করছেন। মনে রাখতে হবে, অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশাল বাজেট উপস্থাপন করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাট আইন, আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার এই তিনটি বিষয় নিয়েই বাজেট নয়। আরও বিষয় আছে, যা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি না। ভ্যাট, সুদ হার ও আবগারি- এই তিন বিষয়ের এদিক ওদিকে হিসাব করে বাজেট মাপবেন না। এক মুখে অর্থনীতির প্রশংসা আর একদিকে ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী বলবেন- এটা কিন্তু হয় না।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর মতো একজন ব্যক্তিকে নিয়ে আমরা গৌরব বোধ করি। তাকে নিয়ে যেভাবে কথা বলা হয়েছে তাতে জাতি বিব্রত হয়েছে। আমিও বিব্রত হয়েছি। তিনি সিনিয়র ম্যান। সংসদে এভাবে কথা বলা উচিত নয়। তাহলে জাতি আমাদের কাছ থেকে কী শিখবে।’
বুধবার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘একজন সম্মানিত মানুষকে সম্মান দিতে হয়। বাবলু বলেছেন- এখন বিদায় হন। উনি আপনাদেরও অর্থমন্ত্রী ছিলেন। উনি ১২টা বাজেট দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আরও দেবেন। উনার ওপর প্রধানমন্ত্রীর আস্থা আছে।’
জাতীয় পার্টির নেতা বাবলু ও ফিরোজের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বয়স নিয়ে কথা বলেন, আপনার নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বয়সের কথা বিবেচনা করেন না। যিনি আপনাকে মহাসচিব বানান, তারপর আবার রুহুল আমিন হাওলাদারকে বানান, যার বয়স অর্থমন্ত্রীর চেয়েও পাঁচ বছর বেশি।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2su5Vms

June 22, 2017 at 08:55PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top