নিউইয়র্ক, ২৫ জুন- মসজিদ থেকে ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণার পরই তরুণীরা মেহেদি উৎসবে মেতে উঠলো। বাঙালি সংস্কৃতির আমেজে ঈদ-উৎসবের এ দৃশ্য বহুজাতিক সিটি নিউইয়র্কের বৈচিত্র্যকে আরও বর্ণাঢ্য করছে গত ৫/৬ বছর থেকেই। নতুন প্রজন্মের বাঙালি-আমেরিকানদের এ আয়োজনে কোন পরিকল্পনা যেমন থাকে না, তেমনি এজন্য কোন মুরব্বিয়ানাও চোখে পড়ে না। অথচ ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকার ফুটপাত দখল করেই বসছে শত শত তরুণী মেহেদি রাঙানোর নানা সরঞ্জাম নিয়ে। পুলিশ কিংবা সিটির অন্য কোন কর্তৃপক্ষেরও এটি গা সওয়া হয়ে গেছে অর্থাৎ একটি জাতিগোষ্ঠির ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রতি তাদেরও সহনশীলতা তৈরি হয়েছে। যদিও একেকটি হাতে মেহেদি রাঙানোর জন্য নির্দিষ্ট হারে অর্থ নেয়া হচ্ছে। উত্তর আমেরিকায় বাঙালিদের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত জ্যাকসন হাইটসের ৭৩, ৭৪ এবং ৭৫ স্ট্রিটেই শুধু নয়, দুপাশে অর্থাৎ ৩৭ এভিনিউ এবং ৩৬ রোডে ডাইভার্সিটি প্লাজাতেও একই দৃশ্য। ইফতারের আগে শুরু হওয়া এ মেহেদি রাঙানোর উৎসব চলে ভোর রাত অবধি। রাত যত বাড়ে ততই ভিড় বাড়ে গৃহিণী আর মধ্যবয়সী নারী-পুরুষের। ঈদকে আনন্দময় করতে এটি এখন প্রবাসী বাঙালিদের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। নতুন পোশাক-আশাকের ন্যায় হাত ও পায়ে মেহেদি রাঙানোর বাজেটও রাখতে হচ্ছে প্রতি পরিবারে। একইভাবে যে পরিবারে স্কুল-কলেজগামী মেয়ের সংখ্যা বেশি, সে পরিবারের জন্য বাড়তি একটি আয়ও হচ্ছে এই কাজ থেকে। কেউ কেউ সারারাতে ৩০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে। মেহেদি রাঙানোর এ হাট পরিদর্শনকালে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ৭১ এর মহাসচিব, লেখক-সাংবাদিক হারুন হাবীব বলেন, সুদূর এই প্রবাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুতদের মধ্যে বাঙালি সংস্কৃতির এই প্রবাহ আমাকে অভিভূত করেছে। এই ধারাকে বহমান রাখতে প্রথম প্রজন্মকে আরো যত্নবান হতে হবে। একইভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেও প্রবাস প্রজন্মে বিচ্ছুরণ ঘটাতে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে সকলকে। হারুন হাবীব উল্লেখ করেন, রাজধানী ঢাকাতেও এমন উৎসব-আমেজে মেহেদি রাঙানো উৎসব দেখিনা। নিউইয়র্কের এই উৎসব বিশ্ব বাঙালির অহংকারের প্রতীক এবং বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি প্রবাসীদের অগাধ মমতবোধেরই বহিঃপ্রকাশ।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2t90dIf
June 25, 2017 at 09:20PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন