বালাগঞ্জে বন্যা আক্রান্ত এলাকার প্রতি ঘরে-ঘরে শুধুই আর্তনাদ।

নিজস্ব প্রতিনিধি: বালাগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির চরম আকার ধারণ করেছে। বন্যার্ত মানুষদের মধ্যে এখন হাহাকার চলছে। ইতিমধ্যে উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানি রয়েছেন। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে তেমন কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে না।

কর্তা ব্যক্তিরা শুধুমাত্র বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন সীমাবদ্ধ থাকছেন আর লোকজনকে ত্রাণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বলে পানিবন্দি ও ত্রাণ সহায়তা বঞ্চিত লোকজনের অভিযোগ। মানুষ বারবার বন্যায় আক্রান্ত হলেও কোনো আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়নি।

এক সপ্তাহ ধরে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় পানি উঠার কারণে দাফতরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। উপজেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোও ও আবাসিক এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। চৈত্র মাসের অকাল বন্যায় বুরো ফসলহানির পর থেকে এ পর্যন্ত বালাগঞ্জ এলাকায় তিন দফায় বন্যা দেখা দেয়। পনের দিনের ব্যবধানে দুই দফার বন্যা পানিবন্দি হত দরিদ্র লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বন্যা আক্রান্ত এলাকার প্রতি ঘরে-ঘরে শুধুই আর্তনাদ। তাদের পক্ষে জীবন-ধারন করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ফলে আক্রান্ত পরিবার গুলোর মধ্যে এবারের ঈদের আনন্দ অনুপস্থিত। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতি দিনই নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুশিয়ারা পানি বিপদ সীমার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী পারের গ্রামগুলোর বাসিন্ধারা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের উপর দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। এই সড়কে যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। নির্মানাধীন বালাগঞ্জ-খসরুপুর সড়কের উপর দিয়েও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

পানির তোড়ে এই সড়কের বালাগঞ্জ থেকে রাধাকোনা অংশের দুইটি স্থানে ৩০-৪০ ফুট করে ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়কের অন্যান্য অংশে এভাবে ভেঙে গিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ সিংহ বলেন, পানিবন্দি হয়ে লোকজন দুর্ভোগে সময় কাটাচ্ছেন। এ

পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য ৫টন চাল বরাদ্ধ এসেছে। তার মধ্যে বেশী ক্ষতি গ্রস্থ পূর্ব পৈলনপুর , বোয়ালজুড় ২ টন করে ও বালাগঞ্জ ১ টন বরাদ্ব দেওয়া হয়। তাছাড়া চাউলের পরিবর্তে বরাদ্দ গম থাকায় তা নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

এদিকে গত ২০ জুন সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া তাদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাৎক্ষনিকভাবে নগদ অর্থ ও ১০ কেজি করে চাল বিতরন করেন প্রায় ২ শ জনের মধ্যে। এছাড়া আর তেমন কোন ত্রান বিতরন লক্ষ করা যায়নি।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2t21uAQ

June 23, 2017 at 06:28PM
23 Jun 2017

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top