নিউইয়র্ক, ৪ জুন- নিউইয়র্কের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী জাকির খান তার বাড়িওয়ালার হাতে মর্মান্তিকভাবে খুন হবার পর তার হত্যার বিচারে সোচ্চার হয়েছিলেন তার ঘনিষ্ঠজন ও কমিউনিটির নেতৃস্থানীয়রা। কিন্তু হত্যাকারী মেহরান জাকিরকে হত্যার পর নিজেই পুলিশ প্রেসিঙ্কটে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়ে আত্মসমর্পন করায় আর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের আন্দোলন করতে হয়নি তাদেরকে। প্রচলিত আইনে জাকির খান হত্যার বিচার হচ্ছে এবং বিচারে হত্যাকারীর শাস্তি যা হবার তাই হবে। কিন্ত জাকির খান মারা যাবার পর তার স্ত্রী তিন সন্তানকে নিয়ে কেমন আছেন? কিভাবে কাটছে তাদের জীবন তার খবর রাখছেন না কেউ। অনেকই জাকির খান হত্যাকান্ডের বিচার সুনিশ্চিত করতে ফান্ড রেইজিংয়ের কথা বলেছেন। কিন্তু তার পরিবার কিভাবে দিন কাটাচ্ছে জাকির খানকে ছাড়া? তাদের কি মাথা গোঁজার কোন ঠাঁই আছে? তারা কি প্রতিদিন স্বাভাবিক খাবার পাচ্ছে? এসবের কোন খবর নিচ্ছেন না যারা তার হত্যাকান্ডের বিচারে মাঠ গরম করে বক্তৃতা দিয়েছেন অথবা এক সময়ে রমরমা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে যাদেরকে কারনে-অকারনে দান-অনুদান বা স্পন্সর করেছেন তরুণ ব্যবসায়ী কাম সমাজসেবী জাকির খান। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এক সময়ের বিলাসী জাকির খানের পরিবারের করুন জীবন যাপনের কাহিনী। সেই জাকির খানের পরিবার এখন ম্যানহাটানের একটি সরকারী হোমালেস সেন্টারের একটি ছোট কক্ষে জীবন যাপন করছে। তার স্ত্রী ন্যান্সী খান দুই কন্যা ও একপুত্রকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রের যে কক্ষে বাস করেন সেখানে রান্না-বান্নার কোন সুযোগ নেই। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা খাবারই তাদের খেতে হয়। এদিকে সরকারী সহায়তায় একটি বাসা ভাড়া করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন প্রয়াত জাকির খানের স্ত্রী। ব্রঙ্কসের কোন বাড়ীওয়ালা তাদেরকে ভাড়া দিতে সম্মত হননি। অন্যদিকে ব্রঙ্কসে বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন জাকিরের স্ত্রী ন্যান্সী খান তার সন্তানদের নিয়ে। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে স্কুলে গিয়ে তাদের লেখা পড়া চালিয়ে যাচ্ছেন মরহুম জাকির খানের সন্তানরা। তের বছর বয়সী তার বড় কন্যা সিক্স গ্রেডে ও পুত্র পঞ্চম গ্রেডে পড়ে বারুক কলেজের পাশের মিডল স্কুলে। ৬ বছর বয়সী ছোট পুত্র পড়ছে ম্যানহাটানের পিএস ১১৬-তে কেজিতে। এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে জাকিরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এমন একজন বাংলাদেশী মহিলা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, জাকির খানের স্ত্রী তার তিন সন্তান নিয়ে সত্যিই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার শিশুরা নিজেদের পছন্দের খাবার পায় না- আশ্রয় কেন্দ্রের দেয়া খাবারগুলো এদেশীয় খাবার, কিন্ত তারা বাংলাদেশী খাবার খেতে অভ্যস্ত। তাদেরকে মাঝে মাঝে আরেক সমাজসেবী বাংলাদেশী মহিলা বাংলাদেশী খাবার দিয়ে আসেন। সূত্র: সাপ্তাহিক বর্ণমালা
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2srJlsw
June 04, 2017 at 06:32PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন