লন্ডন, ১৫ জুন- ২০০৭, ২০১২- বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ থেকে তাদের ছিটকে যাওয়ার নেপথ্যে ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই যেন নিয়তি বদলে নেয় ভারত। আর হার হয়ে ওঠে বাংলাদেশের অমোঘ নিয়তি। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনালে হারের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই এক রানের যন্ত্রণার হার। আইসিসির ইভেন্টের টানা তিন হারের যন্ত্রণা মিটিয়ে নেয়ার ম্যাচ ছিলো এজবাস্টনে। কিন্তু পথটা অচেনাই থেকে গেলো। এবার আরেকটি কান্না। যন্ত্রণা মুছে নেয়ার ম্যাচে মিললো আরো বড় যন্ত্রণা, দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া হার। লড়াই-ই করতে পারলো না মাশরাফিবাহিনী। হেসেখেলে ম্যাচ জিতলো বিরাট কোহলির দল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালই হয়ে থাকলো বাংলাদেশর সেরা সাফল্যে। থামলো স্বপ্নযাত্রা, ভারত ডেরাও আর পার হওয়া হলো না মাশরাফিবাহিনীর। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নয় উইকেটের হারে থামলো বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন। বাংলাদেশের হারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল রুপ নিলো ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অগোছালো শুরুর পরও বড় সংগ্রহের পথে হাঁটছিলো বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ৩০০ রানের সংগ্রহ গড়ার স্বপ্ন দেখছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ে সেভাবে আর বাংলাদেশের রানচাকা ঘোরেনি। শেষের দিকে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ৩০ রান করে বাংলাদেশকে ২৬৪ রানে পৌঁছে দেন। জবাবে ২৬৪ রানের লক্ষ্য মামুলি বানিয়ে নয় উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত। এবার নিয়ে চতুর্থ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠলো আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ২৬৫ রানের লক্ষ্য এর এমন কী- ভারত যেভাবে ব্যাটিং শুরু করে তাতে সেটাই মনে হচ্ছিলো। বাংলাদেশের বোলারদের পাত্তাই দিতে চাইলেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা রান চাকা চেপে ধরছিলেন ঠিকই কিন্তু সঙ্গ মেলেনি। মুস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেলদের রীতিমতো পাড়ার বোলারে পরিণত করেন রোহিত-ধাওয়ান। দুই ওপেনারের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৭.৫ ওভারেই ৫০ পেরিয়ে যায় ভারত। সেঞ্চুরির পথেই ছিলো এ জুটি। এমন সময় আঘাত হানেন মাশরাফি। ব্যাট হাতে ৩০ রানের হানা না মানা ইনিংস খেলা মাশরাফিই বাংলাদেশকে প্রথম এবং একমাত্র উইকেটটি এনে দেন। মাশরাফি ৪৬ রান করা ধাওয়ানকে ফিরিয়ে দেয়ার পর বাংলাদেশের অন্য বোলারকে কেবল চেষ্টাই চালিয়ে গেছেন। কিন্তু মেলেনি উইকেটের দেখা। ম্যাচসেরা রোহিত শর্মা বলতে গেলে একাই বাংলাদেশের বোলারদের কোণঠাসা করে তোলেন। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও ব্যাট হাতে বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ জ্বালা দিয়েছেন। এই দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরাতেই পারেননি মুস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেল, সাকিবরা। দ্বিতীয় উইকেটে ১৭৮ রানের জুটি গড়েন রোহিত-কোহলি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি করা রোহিত ১২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। কোহলি খেলেন ৯৬ রানের হার না মানা ইনিংস। এরআগে ব্যাট করতে নেমে ৩১ রানের মধ্যে সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমানকে হারানো বাংলাদেশের হয়ে মূলত লড়াই চালিয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় জুটিতে ১২৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন তামিম-মুশফিক। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু তামিম ৭০ ও মুশফিক ৬১ রান করে ফিরলে দিক হারায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২১ ও মোসোদ্দেক ১৫ রান করে ফিরে গেলে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মাশরাফি। সাথে পান তাসকিন আহমেদকে। তাসকিনকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৩৫ রানের জুটি গড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাশরাফি ২৫ বলে ৩০ ও তাসকিন ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার জাসপ্রিত বুমরাহ ও কেদার যাদব দুটি করে উইকেট নেন। আর/১০:১৪/১৫ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rvPZ4f
June 16, 2017 at 04:22AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন