ঢাকা, ৩০ জুন- ঈদে মুক্তি পাওয়া তিন ছবির মধ্যে নবাবও রাজনীতির নায়ক তিনি। যৌথ প্রযোজনার চালবাজ ছবির শুটিংয়ের জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় কলাকুশলীদের সংগঠনের বাধার কারণে শুটিং হয়নি। লন্ডনে থাকার সময়ই দেশের চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোও শাকিব খানকে বহিষ্কার করেছে। । গত মঙ্গলবার সেখান থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। বেশি সাড়া পাচ্ছেন কোন ছবি থেকেনবাব না রাজনীতি? নবাব সারা দেশে ১২৫টি হলে মুক্তি পেয়েছে। আমি ঈদের দিন ও পরের দিন যুক্তরাজ্যে ছিলাম। সেখান থেকেই নবাব-এর জয়জয়কার শুনেছি। অনেক হলে এক-দুই দিন আগের টিকিটও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। টেলিভিশন, ফেসবুকে নবাব দেখতে দর্শকদের যে দীর্ঘ সারি দেখতে পাচ্ছি, তাতে বাংলা ছবির সুদিন ফিরে আসার আভাস পাচ্ছি। যৌথ প্রযোজনার ছবি সঠিক নিয়মের মধ্য দিয়ে আরও বেশি বেশি তৈরি হলে আমাদের দেশীয় ছবির মধ্যেও এগিয়ে যাওয়ার তাগিদ তৈরি হবে। দেশে ফিরেছেন, হলে নিজের ছবি দেখতে যাবেন না? প্রতিবছর ঈদের সকালে উঠেই আমি ঢাকার মধ্যে প্রায় সব হলেই গোপনে যাই। এবার ঈদের দিন তো দেশে ছিলাম না। মঙ্গলবার ফিরেছি। এখন যাব। ঢাকার মধ্যে নবাব যেসব হলে মুক্তি পেয়েছে, সব হলেই যাব আশা করছি। গত বছর শিকারি মুক্তির পর যৌথ প্রযোজনার ছবিতে আপনার ব্যস্ততা বাড়ছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? এটি আমার ও আমার দেশের জন্য ইতিবাচক। শিকারি মুক্তির পরপরই যৌথ প্রযোজনার নবাব, রংবাজ ছবি দুটি শেষ করেছি। নাম ঠিক না হওয়া আরেকটি ছবির ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। যৌথ প্রযোজনার ছবিতে একটা অবস্থান তৈরি করতে পেরেছি আমি। এসব ছবিতে বাংলাদেশকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নবাব ছবির নামভূমিকায় আমি। রংবাজ ছবিতে প্রায় ৯০ ভাগই বাংলাদেশের শিল্পী-কলাকুশলী। শুধু নৃত্য পরিচালক ভারতের। এগুলো আমার জন্য সাফল্যের। লন্ডনে চালবাজ-এর শুটিং বন্ধ হয়ে গেল কেন? প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজের সঙ্গে ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার কিছু একটা ঝামেলা বেধেছে। এ কারণেই সমস্যা হয়েছে। ছবির জন্য আমার লুক সেট শেষ হয়েছিল। শুটিং শুরুর আগমুহূর্তে এ সমস্যা হয়েছে। পরে শুটিং আর শুরু করা যায়নি। লন্ডন থেকে পুরো ইউনিট দেশে ফিরেছে। তবে এসকে মুভিজ আমাকে জানিয়েছে, অচিরেই সমস্যা কেটে যাবে। এবার প্রথম কাজ কলকাতার লোকেশনে হবে। তারপর যুক্তরাজ্যে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী পরিবার আপনাকে চলচ্চিত্র থেকে বহিষ্কার করেছে। বিষয়টি কীভাবে সামলাবেন? হাস্যকর ব্যাপার! আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি, আমি আমার কাজ নিয়ে থাকতে চাই। এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমার নেই। আর আমি অন্যায় কিছু করিনি। নবাব ও রংবাজ করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছি। আমাকে ষড়যন্ত্র করে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিনেমা হল মালিক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ সাহেবের মতো স্বনামধন্য ব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ আর/১৪:১০/৩০ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tqVilO
June 30, 2017 at 08:10PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top