সুরমা টাইমস ডেস্ক ::
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান মোতাবেক দেশে লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেসবিহীন কোনো নৌযান নেই বলে দাবি করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
মন্ত্রী বলেন, লঞ্চ চলাচলের জন্য প্রথমত নৌপরিবহন অধিদপ্তর ফিটলেস প্রদান করে থাকে। ফিটনেস সনদের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক রুট পারমিট এবং টাইম টেবিল প্রদান করা হয়। ফলে ফিটনেসবিহীনলঞ্চ চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। তবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনিবন্ধিত ছোট ছোট কিছু পণ্যবাহী,বালিবাহী, যাত্রীবাহী বোট চলাচল করে বলেস্বীকার করেন মন্ত্রী।
মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জ্বালানী তেল পরিবহনে রাষ্ট্রিয় পতাকাবাহী সংস্থা বিএসসি’র সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কেয়কটি জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এরমধ্যে চীন সরকারের ঋন সহায়তায় ৬টি নতুন জাহাজের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার যা পরিশোধিত তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হবে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের আওতায় ৩টি জাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে ২টি ক্রুড অয়েল লাইটারেজ ট্যাংকার, একটি কন্টেইনার জাহাজ। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের আওতাধীন জাহাজগুলোর সেবার মান ও এটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।
সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী শাজাহান খান জানান, বর্তমানে দেশে নদীর খননের জন্য সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন বিআইডব্লিউটিএ’র অধীনে ২১টি ড্রেজার রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে ২টি, ১৯৭৫ সালে ৫টি, ২০১১ সালে ৩টি, ২০১৪ সালে ৮টি এবং ২০১৬ সালে ৩টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। সবগুলো ড্রেজারই সচল রয়েছে। তবে নদী খনন কার্যক্রম ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাওয়াতে ২১টি ড্রেজার দ্বারা খনন কার্যক্রম পরিচালনা করা যথেষ্ট নয়। এ কারণে আরও ২০টি ড্রেজার ক্রয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা ২০১৯ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2r73FxA
June 08, 2017 at 01:28AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন