লন্ডন, ১৫ জুন- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনাল। অন্যরকম রোমাঞ্চ। সেই রোমাঞ্চেই কি না সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান ফিরলেন দ্রুত। এজবাস্টনে স্বপ্নের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ৩১ রানে নেই টাইগারদের ২ উইকেট। এরপর উইকেটে এসে মুশফিকুর রহীমের ইনিংসের শুরু বাউন্ডারি দিয়ে। তার ব্যাটিং সাবলীল। চাপে থাকার ছোঁয়ামাত্র নেই! শুরুতেই ভুবনেশ্বর কুমারের টানা ৩ বলে ৩ বাউন্ডারি। দেখিয়ে দিলেন, ভারতের বোলিং লাইন আপ শক্তিশালী হলেও অজেয় নয়! মুশফিককে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তামিমও চাপ ঝেড়ে ফেলে মারমুখী ব্যাটিংয়ে ফিরলেন। দুজনেই তুলে নিলেন হাফসেঞ্চুরি। তাতে বড় লক্ষ্যের দিকেই এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ে এলোমেলো টাইগাররা। ২৫ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরলেন তামিম, সাকিব আল হাসান ও মুশফিক। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯১ রান। উইকেটে আছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ ৪ ও মোসাদ্দেক হোসেন ৯ রানে। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের মতো টাইগারদের স্কোরবোর্ডের হাল ধরেন তামিম ও মুশফিক। ইনিংসের শুরুতে সাবধানী ছিলেন তামিম। ব্যক্তিগত ১২ রানে পেয়েছেন জীবন। ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়েছিলেন তিনি। তবে আম্পায়ার জানালেন, হার্দিক ওভারস্টেপ করেছেন। দিলেন নো বলের সিদ্ধান্ত। জীবন পেয়ে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৮তম হাফসেঞ্চুরি। পার্ট-টাইমার বোলার কেদার যাদবকে উড়িয়ে মারতে গিয়েই হয়েছে বিপদ! হয়েছেন বোল্ড। সাজঘরে ফেরার আগে ৮২ বলে করেছেন ৭০ রান। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও একটি ছক্কা। তামিমের বিদায়ে ভাঙে মুশফিকের সাথে তার ১২৩ রানের জুটি। সেই সাথে এবারের টুর্নামেন্টে দুই সেঞ্চুরি করার স্বপ্নটাও তামিমের ভাঙে দ্বিতীয়বারের মতো। এরপর ২ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন সাকিব ও মুশফিক। ২৩ বলে ১৫ রান করে সাকিব রবীন্দ্র জাদেজার বলে এমএস ধোনিকে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৫তম ওভারে। পরের ওভারেই মুশফিককে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেছেন ভিন্ন অ্যাকশনের স্পিনার কেদার। ৮৫ বলে ৬১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটি হাঁকানো ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি। ভারতের সাথে ক্রিকেটে দারুণ এক মাঠের শত্রুতা এখন বাংলাদেশের। সাথে ফাইনাল থেকে এক ধাপ দূরে থাকার রোমাঞ্চ! তাতেই কি না এজবাস্টনে ৩১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার শূন্য হাতে ফেরার পর সাব্বির রহমান বিদায় নিয়েছেন ২১ বলে ১৯ করে। ভুবনেশ্বর কুমারের স্টাম্পের বাইরের অ্যাঙ্গুলার বলটাকে খেলতে গিয়ে ফুটওয়ার্কের ধারকাছে দিয়ে গেলেন না সৌম্য। ইনসাইড এজে বোল্ড! আরো একবার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সৌম্য ধাক্কা খাইয়ে দিলেন বাংলাদেশ দলকে। দুই বল খেলেই তিনি আউট। প্রথম ওভারের শেষ বলেই! আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বপ্নের সেমি-ফাইনালের ১ রানে নেই টাইগারদের ১ উইকেট। সাব্বির এসেই বাউন্ডারি মারেন জসপ্রিত বুমরাহকে। অন্যপ্রান্তে তামিম দেখে চলেন সাব্বিরের খেলা। দ্রুত ছোটেন ওয়ান ডাউনের ব্যাটসম্যান। ৪টি বাউন্ডারিতে রান হয়ে যায় ১৯। কিন্তু ভুবনেশ্বর তো ফর্মে। তাকে কাট করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিক মেলাতে পারেননি সাব্বির। নইলে এভাবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে কেন তুলে দেবেন বল? টসের কয়েনটা ছুড়লে মাশরাফি বিন মুর্তজা হেরে যান প্রায়ই! এ ম্যাচেও ছুড়লেন। হারলেন। বিরাট কোহলি ফিল্ডিং নিলেন। মাশরাফি বললেন, টস জিতলে তিনিও আগে ব্যাটিংয়ে যেতেন না। টাইগারদের মনে ভয় ঢুকিয়ে আবার খেলার শুরুর আগে এক পশলা বৃষ্টি। নির্ধারিত সময়ের মিনিট দশেক পর তাই শুরু খেলা। দুদলই এই ম্যাচে তাদের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে। আর/১৭:১৪/১৫ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rulxaG
June 16, 2017 at 12:13AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন