কলকাতা, ১৩ জুন- জাতীয় পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্র পরিচালকের মেয়ে তিনি। কিন্তু শৈশব সুখের হয়নি। আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু নানা কারণে এখনও শৈশবের অন্ধকার যেন তাঁকে তাড়া করে ফেরে। বিশেষত সম্প্রতি এ নিয়ে বেশ খানিকটা জলঘোলা হওয়ার পর সে সমস্যা বেড়েছে। তাঁর বাবা প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর অসুস্থতা নিয়ে উঠে এসেছে তাঁর নামও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিউতি ভেসে এসেছে নানা কটাক্ষ। এবার এ সব নিয়েই মুখ খুললেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। জানালেন, সেই বিভীষিকার দিন তিনি ভুলে যেতে চান। উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর প্রতিভায় বাংলা ছবির ইতিহাস যে কতটা সমৃদ্ধ হয়েছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তাঁর পারিবারিক জীবনের অনেকটা অন্ধকার দিক আজ প্রকাশ্যে তুলে এনেছেন তাঁরই কন্যা ঋতাভরী। পরিচালকের অসুস্থতার খবর সামনে আসতেই, তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে নেটদুনিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় ঋতাভরী। ফলত সে সবকিছুই তাঁর নজরে এসেছে। এদিন কোনও রাখঢাক না করেই তিনি জানান, আজ সকলে তাঁদের সাফল্যটাই দেখছে। কিন্তু তাঁর মায়ের সারা গায়ের দাগ বা তাঁর দিদির আতঙ্ক তো, সাফল্যের খতিয়ানে উঠে আসে না। ঋতাভরী জানান, নিশ্চয়ই উৎপলেন্দু চক্রবর্তী তাঁর বায়োলজিক্যাল বাবা। কিন্তু শুধু সেটুকুই। তাঁর জীবনে উৎপলেন্দুকে এর থেকে বেশি জায়গা দিতে নারাজ অভিনেত্রী। জানান, বাবা শব্দের দ্যোতনা বা অর্থ শুধু বায়োলজিক্যাল সূত্র দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায় না। অন্তত তাঁর ক্ষেত্রে তো তা নয়ই। তাঁর মায়ের প্রতি বাবার অত্যাচারের কথা যে তিনি ভোলেননি, এদিন তা বুঝিয়ে দিলেন। তিনি জানান, যখন তাঁর মা ও বাবার বিচ্ছেদের মামলা চলছিল তখন, ছোটমেয়েকে অন্যের সন্তান বলেও দাবি করেছিলেন তাঁর বাবা। এমনকী মদ্যপ অবস্থায় তাঁর বাবা, ছবছরের দিদির অন্তর্বাস ধরে টানতেন বলেও উল্লেখ করেন ঋতাভরী। শৈশবের সেই বিচ্ছিরি দিনগুলোর কথা জানাতেই তিনি বলেন, আজকে তাঁর বা তাঁদের সাফল্য নিয়ে অনেকে কথা বলছেন, কিন্তু তাঁরা তো তাঁর দিদির সেই আতঙ্কের সাক্ষী থাকতে পারেননি। আর তাই তিনি সেই দিনগুলোকে ভুলে যেতে চান। নিশ্চয়ই তিনি কোনও অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। তাঁরও খারাপ লেগেছে পুরো ঘটনায়। কিন্তু বাবা, দায়িত্ব এই শব্দগুলো তাঁর কাছে গুরুত্ব পায় না এই বিড়ম্বিত শৈশবের কারণেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও রাখঢাক না করেই এ কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। বাবা শব্দের অর্থ তাই যেন তাঁকে না বোঝানো হয়, সে অনুরোধই করেছেন ঋতাভরী।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rqymxI
June 13, 2017 at 08:17PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন