ঢাকা::প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করবে। বাঙালি জাতির প্রতিটি মহৎ, শুভ ও কল্যাণকর অর্জনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা অসামান্য।
আওয়ামী লীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুক্রবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন ভবনের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় আগামী নির্বাচনেও ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ যখন উন্নয়নের সোপানে এগিয়ে যাচ্ছে তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। কোনো অশুভ শক্তিকে এই দেশে বিস্তার লাভ করতে দেওয়া হবে না।
সকালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন ও মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে’। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবার সরকার গঠন করতে হবে। দেশবাসীকে বলব, আওয়ামী লীগকে আবারও দেশসেবা করার সুযোগ দিন।
‘আওয়ামী লীগ দেশের অগ্রগতি এনে দিয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটা কেবল আওয়ামী লীগই পারে। জাতি যেন তা মনে রাখে’।
নিজ দলের নেতা-কর্মীদের জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক হিসেবে গড়ে ওঠার তাগিদও দেন শেখ হাসিনা।
‘দেশের সেবা করুন, মানুষের সেবা করুন। কী পেলাম, কী পেলাম না: সেটি বড় কথা নয়’। দেশকে, মানুষকে কী দিতে পারলাম; সেটিই বড় কথা।
যারা বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করেছিলেন, তাদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা তখন লিখেছিল বঙ্গবন্ধু সফল বিপ্লবী, দক্ষ সংগঠক, কিন্তু ভালো শাসক নন; তারা হয় স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, না হয় স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর হিসেবে কাজ করেছিল’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে’। কিন্তু আমি জানি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনও অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, তাদের পদলেহনকারী ও দালালদের অভাব নেই। তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তারা ষড়যন্ত্র করবেই।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে বলেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
‘আওয়ামী লীগ দেশকে স্বাধীন করেছে’। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশের জন্য যা যা করা দরকার, করে গিয়েছিলেন। তিনি যদি আর পাঁচটি বছর বেঁচে থাকতে পারতেন, তাহলে তখনই বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হত।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। খাদ্য ঘাটতির দেশ বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ সরকারই খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করে। আওয়ামী লীগ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারও মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি। আওয়ামী লীগের এই পাঁচ বছরের শাসনামল জাতীয় ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল সময় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2tVTJsx
June 23, 2017 at 03:55PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন