ঢাকা, ২৪ জুন- নারীদের একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ডে। এবারের বিশ্বকাপে মোট আটটি দেশ অংশ নিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকা। তবে এই আসরে নেই বাংলাদেশ। সম্প্রতি মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশ নিলেও এখনো পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেয়া হয়ে ওঠেনি বাংলাদেশের নারী জাতীয় দলের। খবর বিবিসির। মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশে আগ্রহ তৈরি হলেও বিশ্বকাপে ওঠায় ব্যর্থতা কেন? এখন পর্যন্ত নারীদের একদিনের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলতে পারেনি। ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পার্ফম্যান্সে অনেকে আশাবাদী হয়েছিলেন এবার। তবে শ্রীলংকায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ বাতিল হয়ে সেই আশাও অপূর্ণই থেকে গেছে। সেইদিন যদি আমরা ম্যাচটা খেলে জিততে পারতাম তবে হয়তো ঘটনা অন্যরকম হতে পারতো বলেন জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলম। তিনি বলেন, কিছুটা দুর্ভাগ্যের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে দলে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নারীদের খেলা হয় কম। তবে শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও নারীদের টুর্নামেন্ট খুবই কম। বিসিবির নারী ক্রিকেট উইংয়ের পরিচালক আব্দুল আউয়াল বলেন, ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকা বাংলাদেশের আগেই নারী ক্রিকেটের যাত্রা শুরু করেছে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেও একদিনের বিশ্বকাপে খেলতে না পারাটা আমাদেরও ভালো লাগছে না। মেয়েদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের দিকে আরো বেশি নজর দিয়ে আগামী বিশ্বকাপে খেলার টার্গেটের কথা বলছেন আব্দুল আউয়াল। তবে বাংলাদেশে নারী ক্রিকেট এখনো জনপ্রিয়তার দিক থেকে পুরুষদের ক্রিকেটের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। যে কারণে নতুন খেলোয়াড়ও তৈরি হচ্ছে কম। ক্রিকেটার জাহানারা আলম বলছেন, নতুন খেলোয়াড় তৈরি করাটা এখন দলের জন্য বেশি প্রয়োজন। ঘরোয়া লিগগুলো যদি আরো বেশি বেশি করে হয়, তাহলে আমরা প্লেয়ার পাবো। নারী ক্রিকেটের সাথে জড়িত সবাই নতুন খেলোয়াড় বের করে আনার দিকেই বেশি জোর দিচ্ছেন। ঢাকার একটি ক্রিকেট একাডেমিতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়ে ক্রিকেটারদেরও প্রশিক্ষণ দেন শাহজাহান হোসেন। তিনি বলছিলেন, অভিভাবকদের মধ্যে কেউ কেউ মেয়েদের ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী হলেও তারা অনেকেই খুব বেশিদিন সেটি অব্যাহত রাখেন না। রক্ষণশীল মনোভাবও এবিষয়ে অনাগ্রহের আরেকটি কারণ। তিনি বলেন, নারী ক্রিকেটে নতুন খেলোয়াড় বের করতে হলে স্কুল পর্যায়ে ক্রিকেটে আগ্রহ তৈরি করাটাই বেশি জরুরি। স্কুলে না গেলে কোনদিন মেয়েরা বাড়বে না এবং সেরকম খেলোয়াড়ও পাওয়া যাবে না- বলেন তিনি। বিসিবি পরিচালক আব্দুল আউয়ালও বলছেন, স্কুল পর্যায়ে মেয়েদের ক্রিকেটে আগ্রহী করে তোলাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তারা এর আগে এবিষয়ে কিছু উদ্যোগ নিলেও খুব বেশি সাড়া পাওয়া যায়নি। সামনে স্কুল পর্যায়ে মেয়েদের ক্রিকেটে আগ্রহী করে তোলার জন্য আরো উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানাচ্ছে বিসিবি। আর/০৭:১৪/২৪ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2t5hguT
June 24, 2017 at 03:11PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top