মওদুদ সাহেব ৮২ সালের উচ্ছেদ ভুলি নাই –এবং শাওন মাহমুদ এর নতূন স্ট্যাটাস…।।।

১৯৮২ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদের পরিবারকে বরাদ্দ দেয়া বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে দায়ী করে আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ যে দিয়েছিলেন সেটি আরও স্পষ্ট করেছেন তিনি। ওই বছরের ২৪ মার্চ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছিলেন এবং তার আগে মওদুদ বিএনপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন এবং তখনও তাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়।

১০০ টাকায় দলিল করে নেয়া প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বাড়ি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর চরমভাবে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ। তার অভিযোগ, উচ্চ আদালত তার বাড়ির মালিকানা অবৈধ ঘোষণা করলেও রাজউক বুধবার বিনা নোটিশে তাকে উচ্ছেদ করে বেআইনি কাজ করেছে। আর এর প্রতিবাদে তিনি উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন। আর বৃহস্পতিবার মওদুদের এই বক্তব্যের জবাব দেন শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ।

নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, ১৯৮২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের দেয়া বাড়ি থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়। আর সেটাও করা হয় এক দিনের নোটিশে। তিনি লেখেন, ‘সেই উচ্ছেদ প্রকল্পের প্রধান উদোক্তা মওদুদকে স্যুট পরে মাধবীলতা গাছের নীচে দাঁড়িয়ে তার উচ্ছেদ হওয়া বাসার সামনে বলতে শুনলাম যে, তিনি (মওদুদ) ফুটপাতে থাকবেন। হা হা হা মওদুদ সাহেব, ’৮২ সালের উচ্ছেদ ভুলি নাই। ভুলবো না। ইটটি মারিলে পাটকেলটি খাইতে হয়। ওহ্ আরেকটা কথা, সেদিন আমরা যদিও জানতাম না কোথায় থাকবো তারপরও ফুটপাতে থাকবার কথা ভাবিনি। প্রতিবেশীর খালি বাসাটা তাৎক্ষণিক ভাড়া নিয়ে নিয়েছিলাম আমরা।’

মওদুদ আহমদ ১৯৮৫ সালে বিএনপিকে যোগ দিয়েছিলেন। তাহলে তিনি কীভাবে ১৯৮২ সালে শাওন মাহমুদের পরিবারকে বরাদ্দ দেয়া বাড়ি থেকে তাদেরকে উচ্ছেদন করেছিলেন-এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছে লিখেছে একজন।

এই প্রশ্নের জবাব দিয়ে শাওন লেখেন, ‘গতকাল আমার লেখা স্ট্যাটাসটি নিয়ে যাদের সংশয় তাদের বলছি। আজ স্পষ্ট করে আবারও বলছি। ‘৮১ সালে জিয়ার মৃত্যুর পরে কয়েকমাসের জন্য বিচারপতি সাত্তার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় বসেন। ‘৮২ সালের ২৪ মার্চে এরশাদ ক্যু এর মাধ্যমে সেই ক্ষমতা হরণ করেন।’

শুক্রবার শাওন তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘সাত্তার রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যে সব উচ্ছেদ কার্যক্রম করা হয় তার মূল রূপকার ছিল সেই সময়েও মন্ত্রী হওয়া এই মওদুদ। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও এই কাজে সাহায্য করেছিল মওদুদকে।’

বঙ্গবন্ধু সরকারের বরাদ্দ দেয়া বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য তখন উচ্ছেদকারীরা পাকিস্তান থেকে বাড়ির নকল দলিল বানিয়ে এনেছিল বলেও জানান শাওন।

আলতাফ মাহমুদের মেয়ে লেখেন, ‘এই নিয়ে যাদের মনে সংশয় কাজ করছে আমার কথায়, দয়া করে তারা সেই এক মাসের উচ্ছেদ তাণ্ডব নিয়ে খোঁজ করে দেখবেন। খোঁজ নিয়ে দেখবেন, শুধু শহীদ আলতাফ মাহমুদের পরিবারই নয়, মুক্তিযুদ্ধের আরো কত শহীদ পরিবারকে তখন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। একজন শহীদ কন্যা কোন কথা বললেই তা বিশ্বাস করবার দরকার নেই আপনাদের।’

শাওন মাহমুদ লেখেন, ‘আমি সাধারণ মানুষ। আমাকে সাধারণ মানুষেরা ভালোবাসে। আমি তাদের সাথে আমার অপমান, ব্যথা, বেদনা নিয়ে কথা বলি। তারা সমবেদনার হাত নিয়ে পাশে থাকে। সেখানে কোন রাজনৈতিক স্বার্থ কাজ করে না কখনও।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2r48mcq

June 10, 2017 at 05:46AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top