লন্ডন, ১৫ জুন- ৩৩ রানের চার উইকেট পড়ে যাবার পরও তোমরা জিতেছো। তোমাদের দল ফাইনালে খেলবে। না না, কী বলছেন? ভারতই ফেভারিট..। আমাকে থামিয়ে দিলেন তিনি।, কাল সন্ধ্যায় তোমার সঙ্গে আমার দেখা হবে। একটা ভিজিটিং কার্ড ধরিলে দিয়ে বললেন, এই আমার কার্ড। বাংলাদেশ জিতলে আমাকে ফোন কর। আমাকে পার্টি দিতে হবে কিন্তু। গতকাল এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দুই অধিনায়কর সংবাদ সম্মেলন কভার করে পড়ন্ত বিকালে যখন গেইটের বাইরে এসেছি, তখন দেখা ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এই পল হ্যারিসনের সঙ্গে। ৭০ বছর বয়স্ক পল এক সময় ক্রিকেট খেলতেন। ক্রিকেট তো তার ভালো বোঝারই কথা। কিন্তু পল হ্যারিসনের বাজি কেন বাংলাদেশকে নিয়ে, সেটা বুঝলাম না। পল কী তবে বাংলাদেশকে পছন্দ করেন? ভারতীয় সমর্থরা যখন নির্ভার, পলের সেখানে উল্টো সুর! হ্যাঁ, পার্টি। পলকে পার্টি দিই বা না দিই, আজ মাশরাফিরা জিতলে টানা বর্ষণের যন্ত্রণা, বন্যা, ভূমিধসের কষ্ট ভুলে ১৬ কোটির মানুষের দেশ পার্টিতে পার্টিতে মুখরিত হবে। এ এমন এটা ম্যাচ যেটা বাংলাদেশের সম্মান এক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এজবাস্টনে জিতলে আরও একধাপ উপরে চলে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট। পাকিস্তান ভারত দ্বৈরথ পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ভারত যে নতুন ক্রিকেট উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে গত বছর দুয়েক ধরে, সেটা আরো একধাপ জমিয়ে তুলবে নিঃসন্দেহে। ২০০৭ বিশ্বকাপে অনিল কুম্বলে উপেক্ষা জবাব, ২০১২ সালে টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়, ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল আম্পায়ারগেট কেলেঙ্কারি। দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয় এবং ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে উত্তেজনাকর ম্যাচে নাটকীয় হার; এসব ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশ ভারত লড়াইয়ে নতুন রস, উত্তেজনা এনে দিয়েছে। দারুণ জনপ্রিয় করে তুলেছে দু্ই দেশের দ্বৈরথকে। এজবাস্টন সেমিফাইনাল নিয়ে টানটান উত্তেজনায় দুই দেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। কাগজে-কলমে ভারত শক্তিশালী সন্দেহ নেই। অনেক অভিজ্ঞতা, বড় বড় ম্যাচ জিততে অভ্যস্ত তারা। শক্তিশালী বোলিং। পেস ও স্পিন বোলিংয়ে দারুণ ব্যালেন্স। সব মিলে ভারতের পাল্লাই ভারী। কিন্তু ওই যে মাশরাফি যেটা বলেছেন, আমাদের দিনে আমরা যেকোনো কিছু করে ফেলতে পারি। ভারত অধিনায়কও তা মেনে নিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ নিজেদের দিনে খুবই বিপজ্জনক দল। কাল কী এজবাস্টনের নিজেদের সেরা দিন হবে? যেমনটা হয়েছিল কার্ডিফে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশের দিন হতে হলে তামিম, সাকিব, মোস্তাফিজকে বড় রোল প্লে করতে হবে। তামিম সাকিব তো ভালো মুডেই, কিন্তু চিন্তা মোস্তাফিজকে নিয়ে। গত তিন ম্যাচে মাত্র এক উইকেট! তার কাটার ধরছেই না ইংল্যান্ডের উইকেটে। আজ এজবাস্টনের টেকো উইকেটে কী হবে কে জানে? কাটার বয়ের দিকে তাকিয়ে দল। কোহলি, ধাওয়ানদের দ্রুত না ফেরাতে পারলে যে বিপদ। পরিসংখ্যান তো ভালো হওয়ার কথা নয়। ভারতের বিপক্ষে এ পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি জয়। তবে আশার কথা, গত তিন ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় কথা হলো চাপ। চাপ দূরে ঠেলতে না পারলে বিপদ। বড় ম্যাচ। এখানে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যেটা মাশরাফি বলেছেন। সৌম্য সাব্বিররা আগের ম্যাচগুলোতে পারেননি। আজ তাদের জ্বলে ওঠার দিন। জ্বলে ওঠার দিন পুরো দলের। এটা যে নতুন দিগন্তে ওঠার ম্যাচ মাশরাফিদের। আর/০৭:১৪/১৫ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2riWfrN
June 15, 2017 at 03:17PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন