কলকাতা, ২৬ জুন- ক্রমশই সীমান্তপার থেকে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে মদত দেওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হচ্ছে৷ কিছু সূত্র, কিছু কোড ওয়ার্ড ভেঙে এমনই তথ্য পাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ৷ সেখান থেকেই স্পষ্ট বড়সড় নেটওয়ার্ক করেই আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে দিতে মরিয়া গোজমুমো প্রধান বিমল গুরুং৷ সেই সূত্রে উঠে এসেছে তিব্বতি ভাষায় তথ্য আদান প্রদানের বিষয়টি৷ সন্দেহ একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র এই কাজে মদত জুগিয়ে চলেছে৷ দার্জিলিং পার্বত্যাঞ্চলে নেপালি বহুল প্রচলিত৷ তবে তিব্বতি ভাষা জানেন কিছুজন৷ সেরকমই কয়েকজনকে কাজে লাগিয়ে গোর্খাল্যান্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যের আদান প্রদান করছে মোর্চা৷ পাহাড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক স্থগিত করেছে সরকার৷ অথচ মোর্চা নেতৃত্ব বিভিন্ন কোড ব্যবহার করে তিব্বতি ভাষায় কর্মসূচি ছড়িয়ে দিচ্ছেন৷ কী করে সম্ভব এমন প্রক্রিয়া? সূত্রের খবর, আন্দোলন বড়সড় হতে পারে দেখেই গোপন স্থানে চলে গিয়েছেন মোর্চা নেতৃত্ব৷ সেখান থেকেই ক্যুরিয়ার (গোপন পত্রবাহক) মারফত তথ্য পাঠানো হচ্ছে সেন্ডারদের কাছে৷ সেই সেন্ডার পাহাড় এলাকার বাইরে থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে (যেমন সোশাল সাইট) বার্তা পাঠিয়ে যাচ্ছে৷ সেই বার্তা ট্যাপ করার পর ডি-কোড (সংকেত ভাঙা) করেই মিলছে সীমান্ত পার থেকে গোর্খাল্যান্ডকে উস্কানি দেওয়ার বিষয়টি৷ আগেই জানা গিয়েছিল, উত্তর পূর্ব ভারতের জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন(কে) ও, এনডিএফবি (সংবিজিৎ), ব্ল্যাক উইডো গোষ্ঠীর সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ঘণিষ্ঠতা৷ এরাই বিমল গুরুং প্রতিষ্ঠিত গোর্খাল্যান্ড পার্সোনেল বা জিএলপি বাহিনীকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়েছে৷ দেওয়া হয়েছে অস্ত্র সাহায্য৷ মুখ্যমন্ত্রীও স্বীকার করে নিয়েছেন মোর্চার সঙ্গে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগাযোগের বিষয়টি৷ গোয়েন্দা রিপোর্টে আগেই উঠে এসেছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে উত্তর পূর্বের জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদত দেওয়ার বিষয়টি৷ যেভাবে তিব্বতি ভাষায় সংকেত পাঠাচ্ছে মোর্চা নেতৃত্ব তাতে বিশেষ রাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত গোয়েন্দাদের৷ সেই দেশের এক অংশে তিব্বতি বহুল প্রচলিত৷ রিপোর্ট বলছে, শুধু গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকেই নয়, উত্তরপূর্ব ভারতে নাশকতা ছড়িয়ে দিতেও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সরাসরি অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করছে এই দেশ৷ সূত্রের খবর, মোর্চা নেতৃত্ব যেমন তিব্বতি সংকেত বিনিময় করছেন তেমনই নেপালিতেও চলছে বার্তা বিনিময়৷ তবে তিব্বতি বার্তাগুলি বিশেষ অর্থবহ বলেই মনে করা হচ্ছে৷ হ্যাম রেডিও অপারেটর ব্যবহার করে সেই বার্তা ট্যাপ করার চেষ্টা চলছে৷ লোকেশন নির্ণয় করে হ্যাম অপারেটররা জানিয়েছেন, সীমান্তপার থেকে কিছু গোর্খাল্যান্ড সংক্রান্ত রহস্যজনক বার্তা বিনিময় হয়েই চলেছে৷ আর/০৭:১৪/২৬ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sbY4qe
June 26, 2017 at 01:39PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top