কলকাতা, ০৪ জুন- দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে প্রশাসনকেই রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ভিত্তি করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে দলের ভূমিকা ক্রমশ কমছে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দ্বিতীয় ইনিংসে সরকারের এই নতুন অভিমুখের ভালমন্দ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শাসক শিবিরে। বামেদের সরিয়ে প্রথমবার সরকার গড়ার পর সাধারণ মানুষকে তাত্ক্ষণিক কিছু রিলিফ দিতে চেয়েছিলেন মমতা। তার ফল পেয়েছেন ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। দ্বিতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সরকার পরিচালনায় প্রশাসনের গুরুত্ব যে বেড়েছে, তা নজরে এসেছে দলের প্রথমসারির নেতাদের। এই নতুন ব্যবস্থা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চাও শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর এই গণশুনানি (জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক) প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাবও দেখছেন নেতৃত্বের একাংশ। বিশেষ করে দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে এর ফলে জনপ্রতিনিধিদের উপর চাপ বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। দলের এক শীর্ষনেতার মতে, প্রথম না হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপ ব্যতিক্রমী তো বটেই। এই ব্যবস্থায় সরকারের জনমুখী প্রকল্পের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের জুড়ে দেওয়ার সুযোগ আছে। যেহেতু রাজ্যে প্রায় সবস্তরেই এখন তৃণমূলের রমরমা, তাই রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বেও তাঁরাই এগিয়ে থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এখনও পর্যন্ত ১৫৫টি প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মমতা। এবার সেই বৈঠক প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। রাজ্যের বাসিন্দারাও টিভিতে দেখতে পাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী কাকে ধমকাচ্ছেন, কারই বা প্রশংসা করছেন। এতে সরকারের প্রধান হিসাবে উন্নয়নের কাজে মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা প্রমাণ করা যাবে বলেই মনে করছেন দলের নেতারা। এই ব্যবস্থায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া দলের বাকি অংশের কাজ নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। প্রাথমিকভাবে দলের নেতারা সবস্তরেই দলকে সরকারের কাজের সহায়ক হিসাবে তৈরি করার কথা ভাবছেন। কিন্তু শাসকদলে থেকেও যাঁরা ক্ষমতার বৃত্তে নেই, তাঁরা কতটা দায়িত্ব পালন করবেন সে বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত শাসক শিবিরের শীর্ষনেতৃত্ব।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2qOylIA
June 04, 2017 at 04:13PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন