দীর্ঘ ৬ বছর ধরে নলের সাহায্যে নাক দিয়ে তরল খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের চৌকিদার আবু তাহির। অর্থের অভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে না পারায় তাকে এই মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। আবু তাহির মোবারকপুর ইউনিয়নের শিবনগর ত্রিমোহনী গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।
সরজমিনে শিবনগর ত্রিমোহনী গ্রামে কথা হয়, চৌকিদার আবু তাহির ও তার স্ত্রী শুকতার সাথে। আবু তাহির জানান, প্রায় ৬ বছর আগে হঠাৎ করে আমার স্ট্রোক হলে প্রথমে কানসাট বেসরকারী হাসপাতাল ভর্তি হলে সেখানে উপয্ক্তু চিকিৎসা না হওয়ায় শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে রাজশাহী মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসরা উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারলে তাকে আজীবন নাকের সাহায্যে তরল খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন।
আবু তাহিরের স্ত্রী শুকতারা বলেন, ‘আমারা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৫ কাঠা জমির মধ্যে ৪ কাঠা বিক্রি করে এবং ঋণ নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। চৌকিদারীর চাকরী করে মাত্র ৩ হাজার টাকা বেতন পায়। অন্য কোন সুযোগ সুবিধা নেই। তাই অসুস্থ্য স্বামীকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে আমাদের’।
তিনি জানান, তার স্বামীর অসুস্থ্যতার কারণে তার চৌকিদারী চাকরী থেকে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্ত স্থানীয়দের অনুরোধে চাকরীটা বহাল আছে।
দুই ছেলে মেয়ের সংসারে ছেলেটা অটো বাইক চালিয়ে সংসারে যোগান দেয়। জটিল অসুখ আর অভাব দু’ মিলিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে আবু তাহিরের পরিবার।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান তোহিদুর রহমান মিঞা বলেন, ‘একজন চৌকিদারের জন্য সরকার থেকে যতটুকু সুযোগ সুবিধা আছে সে ততটুকুই পায়।এখানে আমার কিছু করনীয় নেই’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলমা সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ১৩-০৬-১৭
সরজমিনে শিবনগর ত্রিমোহনী গ্রামে কথা হয়, চৌকিদার আবু তাহির ও তার স্ত্রী শুকতার সাথে। আবু তাহির জানান, প্রায় ৬ বছর আগে হঠাৎ করে আমার স্ট্রোক হলে প্রথমে কানসাট বেসরকারী হাসপাতাল ভর্তি হলে সেখানে উপয্ক্তু চিকিৎসা না হওয়ায় শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে রাজশাহী মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসরা উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারলে তাকে আজীবন নাকের সাহায্যে তরল খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন।
আবু তাহিরের স্ত্রী শুকতারা বলেন, ‘আমারা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৫ কাঠা জমির মধ্যে ৪ কাঠা বিক্রি করে এবং ঋণ নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। চৌকিদারীর চাকরী করে মাত্র ৩ হাজার টাকা বেতন পায়। অন্য কোন সুযোগ সুবিধা নেই। তাই অসুস্থ্য স্বামীকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে আমাদের’।
তিনি জানান, তার স্বামীর অসুস্থ্যতার কারণে তার চৌকিদারী চাকরী থেকে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্ত স্থানীয়দের অনুরোধে চাকরীটা বহাল আছে।
দুই ছেলে মেয়ের সংসারে ছেলেটা অটো বাইক চালিয়ে সংসারে যোগান দেয়। জটিল অসুখ আর অভাব দু’ মিলিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে আবু তাহিরের পরিবার।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান তোহিদুর রহমান মিঞা বলেন, ‘একজন চৌকিদারের জন্য সরকার থেকে যতটুকু সুযোগ সুবিধা আছে সে ততটুকুই পায়।এখানে আমার কিছু করনীয় নেই’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলমা সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ১৩-০৬-১৭
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2syBAUK
June 14, 2017 at 03:35AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন