সুরমা টাইমস ডেস্ক : আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরব-উজ্জ্বল ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন (শুক্রবার)। নানা বাঁক পেরিয়ে দলটি ৬৯ বছরে পা রাখল।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রগতিবাদী নেতাদের উদ্যোগে আহূত এক কর্মী সম্মেলনে পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে বাঙালি জাতির মুক্তির বার্তা নিয়ে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যদিও প্রতিষ্ঠাকালীন সময় সংগঠনের নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তীতে পরিবেশ বিবেচনায় ‘আওয়ামী লীগ’ নামে সংগঠনটি কার্যক্রম শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে এটিই ছিল তদানীন্তন পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগবিরোধী প্রথম কার্যকর বিরোধী দল।
প্রথম কাউন্সিলে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং শামসুল হককে দলের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। তখন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কারাগারে বন্দি। বন্দি অবস্থায় তাকে সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। ১৯৫৩ সালে ময়মনসিংহে দলের দ্বিতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হন।
পরবর্তীকালে ১৯৫৫ সালে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়- ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাকিস্তানি সামরিক শাসন, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সব আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এ দলটি। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ’৭১-র মুক্তিযুদ্ধে দলটি নেতৃত্ব দেয়।
আর এসবের অধিকাংশ আন্দোলনের কৃতিত্ব এককভাবে আওয়ামী লীগের। এই ভূখণ্ডের কোটি কোটি মানুষের জন্য আওয়ামী লীগের যে কালজয়ী কৃতিত্ব শত শত বছর ধরে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে তা হলো আমাদের মহান স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রসেনানী ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু এক অবিভাজ্য সত্তা।
পরবর্তীতে ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে শেখ হাসিনা এবং মো. জিল্লুর রহমান যথাক্রমে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০০ সালের বিশেষ কাউন্সিলে একই কমিটি বহাল থাকে। ২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনা সভাপতি এবং আব্দুল জলিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে সংগঠনের অগণিত নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করবে। বাঙালি জাতির প্রতিটি মহৎ, শুভ ও কল্যাণকর অর্জনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা রয়েছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2rZa7Mx
June 23, 2017 at 06:11PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন