লন্ডন, ১৩ জুন- বার্মিংহামে আসার পর থেকেই ক্রিকেটাররা উচ্ছ্বসিত। যে বার্মিংহামে এসে দেশের উদ্দেশে নীরবে বিমানে ওঠার কথা, সেই বার্মিংহামে বাংলাদেশ দল আসার পর নিজেরাও যেমন সরব, তেমনি প্রবাসীরাও। অনেকেই আসছেন রিজেন্সি হায়াৎয়ে। টাইগারদের দেখা মাত্রই সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ক্রিকেটাররাও সানন্দে তাদের চাহিদা মেটাচ্ছেন। সেলফি তোলার ফাঁকে তাদের কথোপকথন ভারতকে এবার হারাবেই বাংলাদেশ। শেয়ারবাজার চাঙ্গা হওয়ার মতো ক্রিকেটারদের মনোবলও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ভারতকে এবার একটা কিছু করার দৃঢ় ইচ্ছে পোষণ করছেন ক্রিকেটাররা। একসময় ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করত। এটা এখন পরিবর্তিত হয়ে তা বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ভর করেছে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্বমূলক খেলা সর্বত্রই সমালোচিত হয়েছিল। ২০১৬ সালের কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে গ্রুপপর্বে ভারতের বিপক্ষে প্রায় জেতা ম্যাচও হাতছাড়া করে হেরে যায় বাংলাদেশ। ৩ বলে নিতে পারেনি ২ রান। এর আগে তাসকিন-আরাফাত সানির নিষেধাজ্ঞাও ছিল আলোচিত-সমালোচিত। আইসিসির আসর হয় তিনটি। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও মোকাবিলা করতে যাচ্ছে দুই দল। তার মানে ষোলোকলা পূর্ণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইতিমধ্যে সরব হয়ে উঠেছে। চলছে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। সেখানে আবার বাড়তি উত্তেজনা তৈরি করেছে ইমরান খান বীরেন্দ্র শেবাগের মতো সাবেক গ্রেট ক্রিকেটারদের বাংলাদেশে সেমিফাইনালে আসা নিয়ে তাচ্ছিল্য করে কথা বলা। তাই নিয়ে হোটেল লবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আড্ডায় মাশরাফি-তামিম আলোচনা করছিলেন। ইমরানের খানের কথাকে তারা পাত্তাই দেননি। শেবাগ তো ভারতকে ফাইনালে স্বাগতই জানিয়েছেন। তাই নিয়ে মাশরাফি বলছিলেন, ওদের এ রকম কথা ভালোই লাগছে। বলতে থাকুক। আমরা কিছু বলব না। দেখা যাবে মাঠে। তামিম তো শেবাগের নামই শুনতে পারেন না। বলেন, কত বড় ক্রিকেটার। অথচ শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে বাজে কথা বলে সম্মান হারাচ্ছেন। এরপরই তাকে নিয়ে একটা খিস্তি আউড়ান হোটেল লবিতে আড্ডা একসময় বাড়তেই থাকে। এসে কিছু সময় কাটান কোচ হাথুরুসিংও। তাসকিন, মোস্তাফিজও কিছু সময় দাঁড়িয়েছিলেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে সবাই নির্ভার। বাড়তি কোনো টেনশন নিতে রাজি না, যা হওয়ার হবে। এই আড্ডা জমে ওঠে মাশরাফির মাধ্যমে। আগে থেকেই ছিলেন তামিম। বিশ্রামের দিন থাকলেও পাঁচ পেসার মাশরাফি, তাসকিন, রুবেল, মোস্তাফিজ ও শফিউলের সঙ্গে সৌম্য সরকারকে নিয়ে ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন এক ঘণ্টা জিম করান। দলের বাকি সবাই হোটেলেই জিম করেন। পেসাররা বাইরে করার কারণ সেখানে বাড়তি কিছু সুবিধা ছিল বলে জানান মাশরাফি। আড্ডায় ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ও ২০১৬ সালে কুড়ি ওভারে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে স্মৃতিচারণ হয়। মাশরাফি যেমন বলছিলেন, মোস্তাফিজের জন্য তো ভারত আলাদা কিছু। সৌম্যর কাছে একটা ভালো ইনিংস পাওয়া হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে মাশরাফি বা দলের ক্রিকেটারদের মাঝে সে রকম কোনো বাড়তি ভাবনা না থাকলেও ভাবনার রাজ্যে শঙ্কা ছিল আম্পায়ার নিয়ে। এ রকম একটি ম্যাচে আম্পায়ার কারা থাকতে পারেন তাও আলোচনায় উঠে আসে। কয়েকটি নাম উঠলেও ধর্মসেনার থাকার ব্যাপারে যেন একরকম নিশ্চিত হয়ে পড়েন অনেকেই। কিন্তু আইসিসিতে ভারতের আগের সেই অবস্থান না থাকারও বিষয়টিও উঠে আসে। কিন্তু তাতেও যেন মাশরাফিরা নির্ভার থাকতে পারছিলেন না। আলোচনার সারমর্ম দাঁড়ায় বাংলাদেশকে আবারো খেলতে হবে ১৪ জনের ভারতের বিপক্ষে! এ আর/১৩:৫৮/১৩ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rVjrzk
June 13, 2017 at 07:57PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top