সিলেটে লাগামহীন নিত্য প্রয়োজনিয় দ্রব্যের বাজার…..

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাইকারি বাজারে এক দাম, খুচরা বাজারে আরেক দাম। এরই মধ্যে পণ্যের মূল্য অনেকটা বেড়ে যায়। চলে যায় ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। রমজানের আগের বাজারমূল্য ও বর্তমানের বাজারমূল্যের মধ্যে অনেক ফারাক। তবে বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। দফায় দফায় বৈঠক করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। গঠন করা হয়েছে মাঠে ৫টি সেল ও ৩টি মোবাইল কোর্ট। তারপরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। মানা হচ্ছে না সরকার ঘোষিত বাজারমূল্য।

ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যবহার একটু বেশি হয়, এই সুযোগে অধিক মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা রোজা এলেই দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। অসাধু সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি করে। নানা অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা ধাপে ধাপে পণ্যের দাম বাড়াতে থাকে। রোজার শুরুতে একদফা মধ্য রমজানে আরেক দফা ও শেষের দিকে আরও একদফা মূল্য বাড়ার আশংকা করছেন ক্রেতারা।

ফলে রোজার শুরুতেই পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে হিমশিম খেতে হয় চাহিদা পূরণে। এদিকে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ছাড়াও ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে রয়েছে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অস্বাস্থ্যকর পণ্য। অসাধু ব্যবসায়ীদের ওজনে কম দেয়ার প্রবণতা তো রয়েছেই।

এদিকে জেলা প্রশাসন বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৫টি মনিটরিং সেল ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে। স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক দেবজিৎ সিংহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাফায়াত মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, রাজস্ব এসএম ফেরদৌস, শিক্ষা ও আইসিটি সৈয়দ আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে ৫টি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।

সরেজমিন সিলেটের বড় পাইকারি বাজার কালীঘাটে গিয়ে দেখা যায়, চিনির মূল্য ৬৭ টাকা, রসুন ২৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি পাইকারি বাজারে ১২০ টাকা, কিন্তু খুচরা বাজারে চিনির দাম ৭৫-৮০ টাকা, মুরগির দাম ১৫০ টাকা, রসুনের দাম ৩০০-৩২০ টাকা। ইফতারের প্রধান উপাদান খেজুর। খেজুর নিয়ে চলছে নানা তেলেসমাতি। একেক জায়গায় একেক মূল্য। ৯০ টাকা থেকে শুরু করে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে। মুড়ি প্রতি কেজি ৫৮ টাকা, খুচরা বাজারে ৭০ টাকা। গরুর মাংস ৫০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, করলা, বেগুন, পটল, ঝিঙা, বড়বটি, শশা আগে বিক্রি হতো ২৫ টাকায় এখন ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বেগুন রোজার আগে ছিল ৫০ টাকা। শুক্রবার মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তৈল প্রতি লিটারে ৫ টাকা বেড়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাফায়াত মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫টি মনিটরিং সেল বাজারমূল্য তদারকি করছে। ভেজাল খাদ্য কিংবা অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হচ্ছে এমন অনিয়ম দেখলেই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে অপর এক প্রশ্নের জবাবে পাইকারি ও খুচরা বাজার মূল্যের পার্থক্যের কথা স্বীকার করেন। এই ব্যবধানের কারণ হিসেবে তিনি ব্যবসায়ীদের সমন্বয়হীনতার কথা উল্লেখ করেন



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2s4oPRi

June 03, 2017 at 07:21PM
03 Jun 2017

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top