গত কিছুদিন ধরেই দার্জিলিং এ চলছে অবরোধ আর লঙ্কাকাণ্ড। ভারতের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিং এলাকায় আগমন এবং রাজনৈতিক আলোচনার জন্য মন্ত্রীসভার বৈঠক উপলক্ষে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায়। মমতা মন্ত্রীসভার বৈঠক নিয়ে সেদিন সকাল থেকেই পাহাড়ে অসন্তোষ ছড়াচ্ছিল মোর্চা সমর্থকদের মধ্যে। রাজভবনে মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষ হতেই মোর্চার বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ে। তাদের ডাকা অবরোধের ফলে সবকিছু অচল হয়ে যায়, আর এর ফলে আটকে যান হাজার হাজার পর্যটক। বিভিন্নভাবে তারা চেষ্টা করেও সরে আসতে পারছিলেন না, খাবার হোটেল থেকে শুরু করে যানবাহন, কোনটাই চলছিল না ঠিকভাবে। যার ফলে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির সীমা ছিল না। এরকম সময়ে একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ সবাইকে আহ্বান করছেন দ্রুত পাহাড় থেকে নেমে যেতে। স্কুলে বাংলা পড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পাহাড়ে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ বা অবরোধ ৷ সোমবার সকাল থেকে দার্জিলিং-কালিম্পং-কার্শিয়ংয়ের সর্বত্রই শুরু হয়ে গিয়েছে মোর্চার কর্মসূচি ৷ প্রথমদিকে ভাবা হয়েছিল এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। কিন্তু এখন এই অবরোধ কতদিন চলবে বা এই অচলাবস্থার অবসান কবে হবে, কেউই বলতে পারছেন না। যারা এই ঈদের বন্ধে ভারতের দার্জিলিং-কালিম্পং-কার্শিয়ং যেতে চেয়েছিলেন, তাদের অবশ্যই উচিত হবে অন্য কোন গন্তব্য চিন্তা করা। আর/১৭:১৪/১৪ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2t1Rx3h
June 15, 2017 at 01:03AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top