বেইজিং, ১০ জুন- চীন-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ওঠানামা প্রায় রোজকারের ঘটনা। সন্ত্রাস থেকে পাকিস্তান বা এনএসজি- নিয়ে খিটিমিটি লেগেই আছে। সে বিরোধীতার আবহ ভুলিয়ে দিলেন বলি স্টার আমির খান। তাঁর দঙ্গল-এ এমন মজলেন চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং যে খোদ নরেন্দ্র মোদির কাছে এরকম আরও ছবির আবদার করলেন। এককালে ভারত আর চীনের সম্পর্ক গলায় গলায় ছিল বললেই হয়। হিন্দি-চিনি ভাই ভাই কথা তো প্রবাদ হয়ে গেছে। কিন্তু যত দিন গড়িয়েছে, নীল আকাশের নীচে বদলেছে সময়ের পট। এখন তা প্রায় নৈমিত্তিক বিরোধীতার পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। ওবামার পুরো সমর্থন সত্ত্বেও ভারতের এনএসজি-র মতো এলিট পরমাণু ক্লাবে ঢোকা কেউ যদি আটকে দিয়ে থাকে তবে সে চীন। নিয়মের বেড়াজালে ফেলে ভারতকে মাত দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। এদিকে কাশ্মীর ইস্যুতেও পাকিস্তানকেই সমর্থন জুগিয়েছে সে দেশ। তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রত্যাশিতভাবেই তলানিতে পৌঁছেছে। তাই বলে পাকিস্তানের সঙ্গে দহরম মহরম বিন্দুমাত্র কমায়নি চীন। ফলে নরমে গরমেই চলছে ভারত-চীন সম্পর্ক। এই আবহেই আবেগের অন্যরকম পরিবেশ তৈরি করে দিলেন আমির খান। বলা ভাল, তাঁর অভিনীত ছবি দঙ্গল। কিছুদিন আগেই তা চিনে মুক্তি পেয়েছে। রমরমিয়ে ব্যবসাও করেছে। শুধু সেখানেই জয়যাত্রার শেষ নয়। সে ছবি দেখেছেন খোদ চিনা প্রেসিডেন্ট। এবং মোদিকে তিনি জানিয়েছেন, দঙ্গল-এর মতো ছবি আরও বেশি করে তৈরি হওয়ার আশা করেন তিনি। এদিকে ভারতীয় ছবির বাজারে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছে রাজামৌলির বাহুবলী। তবে কথায় বলে, স্লো বাট স্টেডি উইন দ্য রেস। আমির খান বলিপাড়ার মিঃ পারফেকশনিস্ট। কোনও এক ছবিতেই তিনি হাজার কোটি টাকার ব্যবসা দিতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ভাল ব্যবসা দেওয়ার নিরিখে তাঁর ধারেকাছে কেউ নেই। দঙ্গল-এর জয়যাত্রা কড়া টক্কর দিয়েছে অতিদর্পিত বাহুবলীকে। এবং শেষমেশ চিনা প্রেসিডেন্টকে ফ্যান হিসেবে পেয়ে যেন কল্পিত বাহুবলীকেই মাত দিলেন রিয়েল লাইফ ক্যারেক্টার মহাবীর ফোগাট। কুস্তিগিরের প্যাঁচে শেষমেশ ধরাশায়ী হল বাহুবলীর কায়দা কানুন। তাই খোদ চিনা প্রেসিডেন্টও দঙ্গল-এর মতো সিনেমা আরও বেশি করে চাইছেন। অবশ্য এ সবই যে আমির খান ছাড়া সম্ভব হত না, তা বলাই বাহুল্য। আর/১০:১৪/১০ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rcGoPR
June 11, 2017 at 04:18AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন