অনূসন্ধানী প্রতিবেদন::.সিলেটের এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রায় সাড়ে ১৭কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রহস্যজনক কারনে সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশন অফিসে ফাইল বন্দি অবস্থায় আটকে আছে । এমনটি অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারীরা । যদিও এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক,যোগাযোগ মাধ্যমে ও সংবাদপএে সংবাদ প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনি দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের । দুর্নীতি দমন কমিশনের এহেন কর্মকান্ডে জন্ম দিয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনার ? দুর্নীতি দমন কমিশনের এমন কার্যকলাপে ক্ষুব্দ হয়ে উঠছেন সিলেটের সচেতন নাগরিকগণ ।
খোঁঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৫/০৫/২০১৭ইং-তারিখে সিলেট বিভাগের সচেতন নাগরিকবৃন্দ গণস্বাক্ষর দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনিয়ম দুর্নীতির সতের কোটি ত্রিশ লাখ চল্লিশ হাজার টাকার আত্মসাতের একটি অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারনে আদৌ তদন্তের কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি দুদক ! বরং উল্টো এই অভিযোগখানা ফাইলবন্দি অবস্থায় কমিশনের কর্তারা রেখে দিয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়েছে । ফলে সিলেটের দুর্নীতি দমন কমিশনের এহেন কর্মকান্ডে তাদের উপর সচেতন নাগরিকরা আস্থা হারিয়ে ফেলছেন । শুধু তাই নয় এরকম আরো অনেক অভিযোগ তাদের নিকট দাখিল করলেও নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা করছেননা তারা । এমনটি অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগীরা । নামে রয়েছে সিলেটে দুর্নীতি দমন কমিশন অফিস,কিন্তু বাস্তব রুপ ভিন্ন । ডিলেঢালা ভাবে চলছে তাদের কার্যক্রম ।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান,অভিযোগ দাখিলের সময় কিছু খরচাপাতিও নাকি হাতিয়ে নেন কতিপয় দায়িত্বরত দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্তা ব্যাক্তিরা । লম্বা হাত-পাঁ দেখান তখন । সিলেট থেকে ঢাকায় অভিযোগ পাঠানোর কথা বলেন । সেখান থেকে অনুমতি আসলে তদন্ত হবে অন্যথায় নয় ? তাছাড়া কিছুু কর্মকর্তারা গোপনে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন সিলেটের কতিপয় কিছুু হলুদ সংবাদকর্মীদের সঙ্গেও । তাদের সঙ্গে সখ্যতার মাধ্যমে বিবাদীদের হাত করে তাদের বাঁচানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকেন । দুখঃজনক হলেও সত্য যে,সিলেটে অনেক অনিয়মকারী দুর্নীতিবাজরা তাদের নাকের ডগায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এহেন কার্যকলাপ চালিয়ে গেলেও তারা হাত-পাঁ গুটিয়ে বসে আছেন ! এক কথায় দুর্নীতি রোধ করার পরিবর্তে তারা নিজেরাই দুর্নীতির বেড়াজালে আটকে পড়ছেন।
এ ব্যাপারে দুদক পরিচালকের অফিসিয়াল সরকারি নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ না হওয়ায় দুদক সিলেটের পরিচালক শিরিন শারমিনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি । তবে দুদকের পিও মাহবুবুর রহমান আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সুুরমা টাইমস-কে বলেন, যে কোন অভিযোগ দাখিলের পরে সিলেট অফিস থেকে তা চেয়ারম্যান বরাবরে পাঠানো হয় ঢাকায় । সেখান থেকে অনুমতি আসতে দেরী হলে সিলেট অফিসের কিছু করার থাকে না । তিনি আরো জানান, সিলেট অফিসের যে কোন কর্মকর্তা ইচ্ছে করলেই অভিযোগ আটকাতে বা ফাইলবন্দি করতে পারবেন না । কারন এ অভিযোগ গুলো খুবই সর্তকতার সহিত দেখা হয় । তাছাড়া প্রতিমাসের বিশ দিন পর পর অভিযোগগুলো নিয়ে অফিসিয়াল আলোচনা করা হয় । সেখানে ফাইলবন্দি রাখার কোন সুযোগই নেই । অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,দুদক অফিসে কোন অভিযোগকারীর নিকট থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠেনা। এখন সচেতন নগরবাসীর প্রশ্ন শুধু একটাই দুদক তুুমি কার।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2sCkRyQ
June 24, 2017 at 10:28PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন