লন্ডন, ১৬ জুন- আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে একরকম ইতিহাসই গড়েছে বাংলাদেশ। যাকে স্বপ্নের চেয়ে বড় কিছু বললে ভুল বলা হবে না। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় উত্থানের গল্প দেখছে ক্রিকেটবিশ্ব। তারই ধারাবাহিকতার ফল এই এই আসরের শেষ চারে ওঠা। সেমিতে ভারতের সঙ্গে পেরে ওঠেনি ঠিক, কিন্তু এই আসরে লাল-সবুজের দল যে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বলাই যায়, আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচটি জিততে পারেনি তো কী হয়েছে, ক্রিকেটপ্রেমীদের মন তো জয় করে নিতে পেরেছে তারা। অবশ্য বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর রূপকথার গল্প শুরু হয় ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে। সে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পরই ক্রিকেটবোদ্ধাদের নজরে আসতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে শুরু হয়েছিল মাশরাফিদের স্বপ্নযাত্রা। বিশ্বকাপের পর জয়যাত্রা অব্যাহত রাখে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়ে। এরপর পূর্ণশক্তির টিম ইন্ডিয়াও নতজানু হয় বাংলাদেশের পরাক্রমের কাছে। পাকিস্তানের পর ভারতের বিপক্ষেও বাংলাদেশ পায় প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের দারুণ অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে আরেকটি ক্রিকেট-রূপকথার গল্প লিখেছিল তারা। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরেকটি ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় মর্যাদাপূর্ণ আসর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে উঠে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে টপকে বি গ্রুপ রানার্স আপ হয়েই শেষ চারে ওঠে বাংলাদেশ। অবশ্য এর আগে এশিয়া কাপ ও এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালেও খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে সেসব সাফল্য যেন ম্লান হয়ে গেছে বাংলাদেশের নতুন অর্জনে। অবশ্য আইসিসির ইভেন্টগুলোতে বরাবরই দুর্দান্ত খেলে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দেয় তারা। ২০০৭ সালে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আসরের দ্বীয় পর্বে উঠেছিল। আর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তো কোয়ার্টার ফাইনালেই ওঠেন মাশরাফিরা। তবে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার পাশাপাশি ব্যক্তিগত কিছু পারফরম্যান্স সবার মন জিতে নিয়েছে। বিশেষ করে তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাতের নৈপুণ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের দারুণভাবে মুগ্ধ করেছে। তামিম চার ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরিতে ২৯৩ রান করে আসরে সেরাদের কাতারে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। আর সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অসাধারণ দুটি সেঞ্চুরি করে শুধু দলকেই জেতাননি, মানুষের মনও জিতে নিয়েছিলেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ফাইনালে উঠতে না পারলেও শেষ চারে ওঠাও কম অর্জন নয়। আর/১২:১৪/১৬ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2sx8aqi
June 16, 2017 at 06:47AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন