লন্ডন, ০১ জুন- ১৯ বছরের পুরনো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাস রেশ রঙিন। মর্যাদার দিক থেকে ক্রিকেট বিশ্বকাপের পরই এই টুর্নামেন্টের অবস্থান। ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার। মাঠের লড়াই শুরু হওয়ার আগেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আটটি দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের মূলপর্বে প্রথমবারের অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমান সময়ের ক্রিকেট ম্যাচগুলো অনেকটা ব্যাটসম্যানদের লড়াইয়ে পরিণত হলেও পিছিয়ে নেই বোলাররা। ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি নিজ দলের হয়ে বল হাতে অবদান রেখে যাচ্ছেন বোলাররা। এক নজরে দেখে নেয়া যাক গেল সাত আসরের সেরা বোলারদের পারফরম্যান্স। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি: ১। কাইল মিলস (নিউজিল্যান্ড): চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবমিলিয়ে ১৫টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন কাইল মিলস। ১৫ ম্যাচে ৪৮৩ রান খরচায় ২৮ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষস্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের এই ডানহাতি পেসার। টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসরে ২০১৩ সালে নিজের সেরা বোলিং করেন ব্ল্যাক ক্যাপদের হয়ে ১৭০ ম্যাচে ২৪০ উইকেট নেওয়া মিলস। স্বাগতিক ইংলিশদের বিপক্ষে ৪.৩ ওভারে ৩০ রান খরচায় চার উইকেট তুলে নেন তিনি। ২। মুত্তিয়া মুরালিধরন (শ্রীলংকা): মিলসের চেয়ে অবশ্য দুই ম্যাচ বেশি খেলেছেন লঙ্কান গ্রেট স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন। মিলসের চেয়ে দুই উইকেট কম নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মুরালিধরন। ১৭ ম্যাচে ৪৮৪ রানের বিনিময়ে ২৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ডানহাতি এই স্পিনারের ইকোনমি রেট ওভারপ্রতি ৩.৬। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হিসাবে ২০০২ সালে নিজের সেরা বোলিং করেন মুরালিধরন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৫ রানে চার উইকেট তুলে নেন তিনি। এই আসরে পাঁচ ম্যাচে দশ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন তিনি। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসরে মুরালির বোলিং নৈপুণ্যে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বৃষ্টি বিঘ্নিত ফাইনালে ভারতের সাথে শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয় স্বাগতিকদের। ৩। লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলংকা): ২২ উইকেট নিয়ে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার এই গতি তারকা। ১৩ ম্যাচে ৫৮৭ রান খরচায় ২২ উইকেট নিয়েছেন মালিঙ্গা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার সেরা বোলিং ফিগার ৩৪ রানে চার উইকেট। ২০০৬ সালে টুর্নামেন্টের পঞ্চম আসরে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন মালিঙ্গা। ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত এই আসরে ছয়টি ম্যাচ মিলিয়ে ১১ উইকেট নেন তিনি। কিন্তু পরের দুই আসরে ছিলেন অনেকটা অচেনা ভূমিকায়। ২০০৯ সালে তিন ম্যাচে চার উইকেট এবং ২০১৩ সালে টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসরে চার ম্যাচে সাত উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। ৪। ব্রেট লি (অস্ট্রেলিয়া): মালিঙ্গার সমান ২২ উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গতি তারকা ব্রেট লি। কিন্তু এ জন্য মালিঙ্গার চেয়ে তিন ম্যাচ বেশি খেলতে হয়েছে ব্রেট লিকে। ১৬ ম্যাচে ৫৯১ রানের বিনিময়ে ২২ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছেন তিনি। এই আসরে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ৩৮ রানে তিন উইকেট। ২০০২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের সেরা বোলিং করেন ডানহাতি এই পেসার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবমিলিয়ে পাঁচটি আসরে অংশ নিয়েছেন তিনি। ৫। গ্লেন ম্যাকগ্রা (অস্ট্রেলিয়া): ২১ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। ১২ ম্যাচে ৪১২ রান খরচায় ২১ উইকেট দখল করেছেন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার। ২০০২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা বোলিং করেন ম্যাকগ্রা। ব্ল্যাক ক্যাপদের বিপক্ষে ৩৭ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। এই ম্যাচে তিন উইকেট নিয়েছিলেন তার স্বদেশী ব্রেট লি। এই ম্যাচে দুই পেসারের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে বড় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। পুল পর্বে নিউজিল্যান্ডকে ১৬৪ রানের বড় ব্যবধানে হারায় অজিরা। ২০০২ সালে নিজের প্রথম আসরে অবশ্য উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। চ্যাম্পিন্স ট্রফির সেরা পাঁচ বোলিং ফিগার: সাত মৌসুমে আলো ছড়ানো বোলারদের পাশাপাশি এমন অনেক বোলার আছেন যারা একটি ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চ দ্যুতি ছড়িয়েছিলেন। এমন বোলারদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচে আছেন ফারভিজ মাহারুফ, শহীদ আফ্রিদি, মাখায়া এনিটিনি, মারভিন ডিলন ও জ্যাক ক্যালিস। এক নজরে এই পাঁচ বোলারের বোলিং ফিগার: আর/০৭:১৪/০১ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rGsmWg
June 01, 2017 at 01:54PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন