লন্ডন, ১৭ জুন- আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। রোববারের ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে পাকিস্তানকে ভাবাচ্ছেন পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটার! বিরাট কোহলির দল টানা দ্বিতীয় শিরোপার স্বাদ পেতে মুখিয়ে। তারকা ক্রিকেটারে ঠাসা দলটি ভারসাম্যের দিক দিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা। ওভালের ফাইনালে পাকিস্তানের মনে ভয় ছড়াচ্ছে ভারতের কয়েকজন বিধ্বংসী খেলোয়াড়। যারা একা হাতে খেলার ফল ঘুরিয়ে দিতে পারেন। বিরাট কোহলি : প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব পালন করছেন কোহলি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন, প্রথমবারেই বাজিমাত করতে চান শিরোপা ধরে রেখে। সে লক্ষ্যে ভালোভাবেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি চলতি টুর্নামেন্টে নিজেও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ভারত অধিনায়ক ৪ ম্যাচের ৪ ইনিংসেই ব্যাট করে আউট হয়েছেন মাত্র একবার। তাতে ২৮ বছর বয়সী কোহলির গড় ২৫৩! হাঁকিয়েছেন ৩টি হাফসেঞ্চুরি। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি খেলেছিলেন অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংস। তাই ফাইনালে কোহলিকে দ্রুত ফেরাতে না পারলে পাকিস্তানকে রানার্স-আপ ট্রফি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতে পারে। শেখর ধাওয়ান : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে শেখর ধাওয়ানের দলে জায়গা পাওয়া নিয়েই ছিল সংশয়। কিন্তু সেই শিখরই এখন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শুরুটা পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৮ রানের ইনিংস দিয়ে। ৪ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি আর ২ হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ৩১৭ রান। স্ট্রাইক রেটটা বিস্ফোরক, ১০২.২৫! এরই মধ্যে তিনি ভারতের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে গেছেন। পেছনে ফেলেছেন সাবেক অধিনায়ক কলকাতার মহারাজা সৌরভ গাঙ্গুলীকে। সবমিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের দ্বিতীয় সেরা আসরে ৯ ম্যাচে ৮৫ গড়ে তার রান ৬৮০। এমএস ধোনি : সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ৪ ম্যাচে মাত্র একবার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ কতোটা শক্তিশালী। টুর্নামেন্টের একমাত্র ইনিংসটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫২ বলে ৬৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন। ধোনির নেতৃত্বেই গতবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল ভারত। তাছাড়া বড় ম্যাচের খেলোয়াড় হিসেবে তার আলাদা সুনাম রয়েছে। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো ছক্কাটা তো তার ব্যাট থেকেই এসেছিল! হার্দিক পান্ডিয়া : উদীয়মান অল-রাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার অভিজ্ঞতাটা এখন পর্যন্ত খুব সুখকর নয়। ৪ ম্যাচে ২ ইনিংসে ব্যাট করে ২৯ গড়ে ২৯ রান করেছেন। বল হাতে আরও বিবর্ণ তিনি। ৬০ গড়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বোলিং ইকোনমি ৬.২০। তবে ২৩ বছরের হার্দিকের বিশেষত্ব হলো তিনি ম্যাচ উইনার। গেলো বছর বিশ্বকাপ টি-টুয়েন্টিতে তার বোলিংয়ের সুবাদে বাংলাদেশ জেতা ম্যাচে হেরেছিল। সে ম্যাচে শেষ তিন বলে প্রতিপক্ষকে কোনো রান দিয়ে দলকে ১ রানে জিতিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া উইকেটে এসেই মারতে পারার দারুণ দক্ষতা রয়েছে তার। ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট ১৩০.৩৪ তারই প্রমাণ। জসপ্রিত বুমরাহ : চলতি টুর্নামেন্টের প্রথম ২ ম্যাচে উইকেট পাননি ভিন্ন অ্যাকশনের পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ২ ম্যাচে মোট ৪ উইকেট শিকার করেছেন। টুর্নামেন্টে তার বোলিং ইকোনমি মাত্র ৪.২০। ২৩ বছর বয়সী তরুণই ভারতের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র। আরেক পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের সাথে তার জুটিটাও বেশ। বুমরাহ বোলিংয়ে গতি আর সুইংয়ের দারুণ কারুকাজ রয়েছে। তাছাড়া ডেথ ওভারে বোলিং করতেও দক্ষ তিনি। যখন তখন চমকে দিতে জানা এই বোলারের ওপর থেকে চোখ সরালে মুহূর্তেই হতে পারে সর্বনাশ! আর/১০:১৪/১৭ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rrh6t3
June 18, 2017 at 05:30AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top