সুরমা টাইমস ডেস্ক:
ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রামনাথ কোবিন্দ।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাত প্রকাশিত ভোটের ফলে বিরোধী জোটের মীরা কুমারকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ী হন তিনি।
বিকাল ৫ টায় ভোটের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই দুইজনের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ষ্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেখা যায় বিশাল ব্যবধানেই জয়ী হয়েছেন কোবিন্দ। তিনি পেয়েছেন ৬৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোট। আর মীরা কুমার পেয়েছেন ৩৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট।
ফলে ভারতের বর্তমান বাঙালি প্রেসিডেন্ট প্রণব মু্খার্জির পর রাইসিনা হিলের পরবর্তী বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন কোবিন্দই। মেয়াদ শেষে ২৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়বেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় দায়িত্ব পাওয়া প্রণব মুখার্জি।
নতুন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে ইতোমধ্যেই তাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পার্লামেন্ট ভবনের পাশাপাশি ২৯টি রাজ্যের বিধানসভা এবং দুটি ইউনিয়ন টেরিটোরিসহ মোট ৩২টি কেন্দ্রে সোমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। এবারের এই নির্বাচনে ৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে; যা এই নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলে এক নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নির্বাচনী প্রচারের সময় কৃষকের সন্তান ৭১ বছর বয়সী কোবিন্দর সাদাসিদে জীবনযাপনকে তুলে ধরেছিলেনন বিজেপি নেতারা। হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের পরিচিত আইনজীবি রাম নাথ বিহারের গভর্নর ছাড়াও দুই দফা রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।
দলিত পরিবারের সন্তান রাম নাথকে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তার এই পদক্ষেপ বিরোধীদের বিভক্ত এবং মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি ভারতের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিজেপির সমর্থন বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
১৯৪৫ এর পহেলা অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের কানপুরের দেহাত জেলার একটি ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রামনাথ কোবিন্দ। তিনি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ।
মূলত কৃষক পরিবারের ছেলে কোবিন্দ কমার্স নিয়ে স্নাতক পড়েন। এরপর কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশুনা শেষ করে দিল্লি হাই কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের উকিল পদে কাজ করেন ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত।
১৯৮০ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি সুপ্রিম কোর্টের স্টান্ডিং কাউন্সিলে ছিলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুরারজি দেশাইয়ের ব্যক্তিগত সহকারীও ছিলেন কোবিন্দ।
প্রথম থেকেই তিনি দলিত সম্প্রদায়ের জন্য লড়ে এসেছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির হাত ধরে তিনি রাজনীতিতে আসেন ১৯৯১ সালে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপি’র দলিত মোর্চার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১৯৯৪ সালে উত্তর প্রদেশে রাজ্য সভার সদস্যও হন কোবিন্দ। ২০১৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি তাঁকে বিহারের গভর্নর নিযুক্ত করেন।
এ বছর ভারতের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি বিহারের গভর্নর পদে ইস্তফা দেন। আর তারপর এ নির্বাচনে জয়ী হলেন তিনি।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2uDtrPX
July 20, 2017 at 09:44PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন