ধূপগুড়ি,২৯জুলাইঃ ফের কুসংস্কারের বলি হলেন এক গৃহবধূ। সাপে ছোবল মারার পর ওই মহিলাকে হাসপাতালের বদলে নিয়ে যাওয়া হয় ওঝার কাছে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ডাঙাপাড়া এলাকায়। মৃতার নাম ভারতী রায়(৫২)। শনিবার সকালে বাড়ির উঠোনে কাজ করার সময় ওই মহিলাকে একটি গোখরো সাপ ছোবল মারে। এরপর ওই মহিলাকে তাঁর স্বামী ও তার ছেলে পাশের মধ্য ডাউকিমারির বাসিন্দা ওঝা রমেশ রায়ের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় দেড়ঘন্টা ধরে ঝাড়ফুঁক করে মহিলাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই মহিলা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, মহিলাকে হাসপাতালে আনার পর অ্যান্টি ভেনোম দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয় ভারতীদেবীকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে চিকিৎসকরা ভারতী দেবীকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
অপরদিকে ওই ওঝা রমেশ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয় নি।স্থানীয় বাসিন্দা মৃদুল রায় অভিযোগ করে বলেন,বর্তমান সময়ে ওঝার ঝাড়ফুঁক থেকে সাবধান হওয়া প্রয়োজন।এর জন্যে সমাজকে সচেতন হতে হবে।
ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. সব্যসাচী মন্ডল বলেন, দেরি না করে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাঁকে বাঁচানো যেত। সঠিক সময়ে অ্যান্টি ভেনোম না দেওয়াতেই মহিলার মৃত্যু ঘটেছে বলে অনুমান চিকিৎসকদের। সব্যসাচীবাবু বলেন, শিক্ষিত সমাজের কাছে সাপে কাটা রোগীকে হাসপাতালে না এনে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কখনই আশা করা যায় না। চারিদিকে সবসময় সচেতনতা শিবির করলেও এখনও অনেকেওই এই বিষয়ে সচেতন নয়।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2uLTKRC
July 29, 2017 at 07:03PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন