ঢাকা, ২০ জুলাই- সোশ্যাল মিডিয়ায় আদর্শ কাপল হিসেবে সবার ওপরে ছিলেন তাহসান মিথিলা জুটি। তাদের এই জুটি নতুন প্রজন্মের নিকট আদর্শ প্রেমের উদাহরণ ছিল। উঠতি তরুণ-তরুণীদের নিকট ঈর্ষার কারণ ছিলেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এই জুটির শত সহস্র ছবি শেয়ার হতো বিভিন্ন প্রেমকাহিনির সাথে। হাজার হাজার তরুণীর ফ্যান্টাসিতে বসবাস করতেন তাহসান মিথিলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র তাহসান। শিক্ষাজীবনেই সাথে তিনি সঙ্গীতে নাম করে উঠছিলেন। ২০০৪ সালে পরিচয় হয় রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সাথে। মিথিলাও গান ভালো গান, লিখতে পারেন ভালো, পাশপাশি ছিলেন মডেল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজনের পরিচয়ের সূত্র যেটাই হোক না কেন, এই মোবাইল যুগের মতো নয়। শুরুটা ছিল চিঠিতে। তাদের প্রেমপর্ব এতোটাই আলোচিত ছিল যে সবাই মনে করতেন এতো ভালোবাসা খুব কম মানুষই তাদের প্রেমিক প্রেমিকাকে ভালোবাসতে পারেন। প্রেমের শুরুর দিকের ঘটনা, ভালোবাসার প্রকাশের জন্য মিথিলার জন্য তাহসান লিখে ফেললেন গান। তাহসানের সুরে গান গাইলেন মিথিলা। গানের রেকর্ডিং ও অনুশীলনের মধ্যদিয়ে টানা আটঘণ্টা সময় পার হয়ে যায়। এই গান গাওয়ার মধ্য দিয়েই তাদের ভালোবাসা আরও ঘনীভূত হয়। গান শুধু তাদের শখ বা প্রফেশন নয়, দুটি জীবনকেও বেঁধে দিয়েছে একই সুতোয়। তাহসান বলেন, আমাদের সম্পর্কটা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরিণত হয়েছে। তার কারণ হতে পারে আমরা একই ইউনিভার্সিটি পড়তাম, প্রায়ই আমাদের দেখা হতো, সাক্ষাতেও কথা হতো। তাহসান যেমন সুদর্শন তেমনি মেধাবী। পড়াশোনাও করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের এলিট ফ্যাকাল্টিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে ব্যাচেলর (মার্কেটিং) ও মাস্টার (ফাইন্যান্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা কার্লসন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টে ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উপর পড়তে যান এবং ২০১০ খ্রিস্টাব্দে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে আসেন। মিথিলাও একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, অভিনেত্রী এবং মডেল। তিনি গান শিখেছেন হিন্দোল সংগীত একাডেমিতে, নাচ শিখেছেন বেণুকা ললিতকলা একাডেমিতে, আর অভিনয় শিখেছেন লোক নাট্যদলের চিলড্রেনস থিয়েটারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন। এরপর তিনি আমেরিকাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান। তিনি সম্প্রতি দ্বিতীয় মাস্টার্স করেছেন আরলি চাইলডহুড ডেভলপমেন্ট বিষয়ে। সেখানে তিনি সাফল্যের সাথে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে। স্বাভাবিকভাবেই নিজ নিজ যোগ্যতা গুণে তাহসান এবং মিথিলা দুজনই অতুলনীয়। তাঁদের ব্যক্তিত্ব মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে যায় দ্রুত। নাটকেও তাহসান মিথিলা জুটির প্রতি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ ছিল। অতি রোমান্টিক নাটক তরুণ প্রজন্মের মনে একটা আবহ তৈরি করে। যেটা অন্য কোনো জুটি তরুণ প্রজন্মের এতোটা প্রভাভ ফেলতে পারেনি। প্লেটোনিক লাভ অথবা রোমান্স-ফ্যান্টাসি মিলিয়ে তাহসান মিথিলা জুটি ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর/১০:১৪/২০ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2gNQOAr
July 21, 2017 at 05:44AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন