কলকাতা, ০৫ জুলাই- ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির জীবনে ৭ জুলাই এক বিশেষ দিন। ঠিক এই দিনটিতেই সাক্ষী সিংহ রাওয়াতের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। বলা বাহুল্য, ক্রিকেট জীবনে সাফল্য ও ব্যর্থতার দিনগুলোয় পাশে পেয়েছেন সাক্ষীকে। এতটা পথ একসঙ্গে পেরনোর পরেও দুজনেই মনে করছেন এখনও অনেকটাই রাস্তা বাকি। কিন্তু সম্প্রতি হিন্দি সংবাদ পোর্টাল দৈনিক ভাস্কর-এ প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা গিয়েছে বিশেষ একটি তথ্য। ইতিমধ্যেই তা মাহি ভক্তদের মধ্যে আলোড়ন তৈরি করেছে। বলা হয়েছে, একটা বিশেষ ঘটনা না-ঘটলে হয়তো ধোনির জীবনে আসতেনই না সাক্ষী। দু জনকে কাছে নিয়ে আসে সামান্য একটি চাবি। শুনতে অবাক লাগলেও তা একেবারে সত্যি। ঘটনাটি এই শহর কলকাতাতেই। সালটা ২০০৮। সাক্ষী তখন কলকাতার তাজ হোটেলে ইন্টার্নশিপ করতেন। তিনি হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনাও করেছেন। সেই সময়ে ইডেনে ভারত-পাকিস্তান খেলা চলছিল। ধোনি-সহ ভারতীয় দল কলকাতার তাজ হোটেলে উঠেছিল। সেখানেই সাক্ষীর সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় হয়। একদিন রুমে ফিরতে গিয়ে ধোনি হঠাৎ বুঝতে পারেন রুমের চাবিটি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। সামনে সাক্ষীকে দেখে তাঁর থেকেই সাহায্য চান। সাক্ষী তাঁকে প্রথম দেখায় চিনতেই পারেননি। হোটেলের অন্য গেস্টদের মতোই ধোনির আইডি দেখতে চান সাক্ষী। রুমের নম্বরও জিজ্ঞাসা করেন সাক্ষী। এই ব্যাপারটি ধোনির পছন্দ হয়নি এবং তিনি আইডি দেখাতে অস্বীকার করেন। সাক্ষীও মুখের উপর বলে দেন, আইডি না দেখালে কোনও সাহায্য তিনি করতে পারবেন না। পরে হোটেলের অন্য কর্মীদের সাহায্যে এই সমস্যার থেকে উদ্ধার পান ধোনি। সাক্ষীও ততক্ষণে ধোনির আসল পরিচয় জানতে পেরে মনে মনে লজ্জিত হয়েছেন। একটি ফুলের তোড়া নিয়ে তিনি ধোনির কাছে ক্ষমা চাইতে তাঁর রুমে পৌঁছন। সাক্ষীর এই বিনয়ী ভাবই ধোনিকে আকৃষ্ট করে। বলা যায়, একরকম এখান থেকেই তাঁদের সম্পর্কের সূচনা হয়। ২০১০-এ ধোনি-সাক্ষীর অগ্নিসাক্ষী হয়। পরের বছরেই ধোনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uJkL6U
July 05, 2017 at 09:54PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন