জন্মদিনের আগের দিন অনলাইনে মুক্তি পেল জয়া আহসান অভিনীত এবং ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ভালবাসার শহর। চলচ্চিত্র নয়, এটিকে বরং তিনি দেখছেন একজন অভিনেত্রীর সামাজিক দায়বদ্ধতা হিসেবে। সেসব নিয়ে গতকাল রোববার বিকেলে আলাপ হয় এই অভিনেত্রীর সঙ্গে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শিল্পীর দায় ও মানবিক চেতনা কীভাবে সমুজ্জ্বল এই অভিনেত্রীর ভেতরে। শুভেচ্ছা। কীভাবে কাটালেন জন্মদিন? ধন্যবাদ। প্রথমত, জন্মদিন আমার কাছে আলাদা কোনো দিন নয়। দ্বিতীয়ত, ১ জুলাই ছিল গুলশান হামলার প্রথম বছর। যেকোনো সচেতন মানুষের মন ভারাক্রান্ত থাকার কথা। বিকেলে বাগানে পানি দিয়েছি, সবজি তুলেছি। রাতে নিজ হাতে বরবটি ও শুঁটকি ভর্তা করেছি। জন্মদিন একেবারেই মাথায় ছিল না। তবে দেশে ও দেশের বাইরে থেকে অনেকে শুভকামনা জানিয়েছেন। মানুষ যে আমাকে ভালোবাসে, সেটা প্রতিবারই নতুন করে অনুধাবন করি। জন্মদিনে নতুন ছবি মুক্তিতে আনন্দ হয়নি? জন্মদিনে পৃথিবীর নানা ধ্বংসযজ্ঞের শিকার মানুষের প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য ভালবাসার শহর ছবিটি। একটা দায়বদ্ধতা থেকে ছবিটি করা। প্রতিদিনই যুদ্ধ ও ধ্বংসের খবর পাই আমরা। দু-এক শব্দে আফসোস শেষে স্বাভাবিক কাজকর্ম করি। আমি শুটিংয়ে যাই, আপনি অফিসে যান; অথচ আমরা সবাই এগুলোর অংশ। ঢাকা, মুম্বাই বা লাহোরে এসব ঘটতে পারে। ছবিটি করার একটি উদ্দেশ্য ছিল। সেটি হচ্ছে, এই অস্থির সময়ের ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে আমার বিদ্রোহ। জানি না দর্শকেরা একে কীভাবে নিয়েছেন। এ শুধু একজন নারীর সংগ্রামের কাহিনি নয়, একটি রাজনৈতিক অবস্থানও। সিনেমা হিসেবে একে কত নম্বর দেবেন? এটাকে আমি সিনেমা হিসেবেই দেখছি না। এটা একটা মেসেজ। আর দশটা ছবির মতো না। সুন্দরবন বাঁচাতে সোচ্চার হতে যে দায়টুকু থাকতে হয়, গুলশান হামলা বা শাহবাগ আন্দোলনের জন্য যে দায়, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে করা একটি কাজ, শুধু ছবি নয়। একজন অভিনেত্রী কখন বুঝতে পারেন যে তাঁর আসলে কোন কাজগুলো বাদ দেওয়া উচিত? এটা তাঁর জীবনবোধের ওপর নির্ভর করে। যে কাজটি আমি করব না, আরেকজনের মনে হতে পারে, সেটা করা দরকার। কেউ জনপ্রিয়তার পথে হাঁটেন, কারও টাকা রোজগার করতে হয়, তাঁদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। কেউ হয়তো শুধুই খ্যাতির জন্য কাজ করেন। আমি টাকা রোজগার করতে চাইনি। যে কাজগুলো করি, নিজের বিশ্বাসের জায়গা থেকে করি। ভালবাসার শহর ছবিটি সে রকমই। আমি বিশ্বাস করি, যে যা চায়, সে সেটাই পায়। পরের ছবি কোনটা? কলকাতা থেকে শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছে আমি জয় চ্যাটার্জি বলছি। ঈদে কী করলেন? ছোটবেলা থেকেই আমি ঈদ এনজয় করি। বাড়িতে সময় দিয়েছি, টিভি দেখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু খুব একটা ফলো করা হয়নি। অমিতাভ রেজা, অনিমেষ আইচের নাটক দেখেছি। আর হুমায়ুন সাধুর চিকন পিনের চার্জার নাটকটি ভালো লেগেছে। উদ্যোগটি একেবারেই অন্য রকম।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uAddDe
July 03, 2017 at 05:31PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top