ধূপগুড়ি, ২২ জুলাইঃ ক্লাস নাইনের এক কিশোরীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়ি ব্লকের মধ্য বোরাগাড়ি এলাকায়। শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে কিশোরীর মৃত্যু হয়। দিদি ও ভাইয়ের মধ্যে বচসার জেরেই কিশোরী কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তবে এই ঘটনায় এখনও পুলিশের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটি স্কুল থেকে ফেরার পর টিভি দেখার জন্যে ভাইয়ের কাছে রিমোট চায়। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণিতে পাঠরত ভাই রুবেল হোসেন মনোযোগ সহকারে টিভিতে কার্টুন দেখায় জামিনার কথায় সাড়া দেয়নি। এরপরই দু’জনের মধ্যে তীব্র বচসা বাধে। গরিব সংসারে মা-বাবা জমিতে কৃষি কাজ করেন। দুপুরে তারা জমি থেকে ফিরলেই ছোট্ট ভাই ঘটনার নালিশও জানায়। ছোট ছেলেকে মানাতে মেয়েকে বকুনিও দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই মা ও বাবা জমিতে কাজের জন্যে চলে যান। এরই মধ্যে দিদিকে ঢলে পড়তে দেখে ছুটে মা-বাবাকে খবর দেয় রুবেল। ছুটে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মেয়েটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শুক্রবার বিকেলের পর হাসপাতালেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। শনিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর মেয়েটির দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
মেয়েটির কাকা আলম ইসলাম জানান, ভাই-দিদির বচসা সামলাতে বাড়িতে সামান্য বকাঝকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই সামান্য ঘটনার এত বড়ো পরিণতি হবে এটা কেউই আশঙ্কা করেনি।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2vKZpq4
July 22, 2017 at 07:52PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন